মেহেরুন হাবিবের জন্মদিন উপলক্ষে অামার একডালা শব্দগুচ্ছ,,,,
শুভ্রপ্রেমের পৃথিবী
---------------------
এই যে দ্যাখো
পৃথিবীর রহস্য!
উজান ভাটির পৃথিবী কিন্তু দিগন্ত ছোঁয়া স্বপ্ন।
যোগ বিয়োগের মতো সহজ অংকটা 'জীবন' শব্দটাকে উলঙ্গ করে নাচায় বাস্তবতার বাঈজীশালায়।
অামিও নাচার ভান করতে করতে কখন শিল্পি হয়ে গ্যাছি!
এখন অাঁকতেও জানি!
ওই যে দেখো.....
ছোট্ট কুঁড়ে ঘরে যে পাতাটা দোল খাচ্ছে তার অপর পৃষ্টার অাঁকা ছবিটা!
কেউ দেখেনি এখনো,
সামনের পৃষ্টাটা খালি বলে অপর পৃষ্টার রহস্য উজ্জ্বল হয়নি,
হয়তো তুমিও জানতেনা!
এখন অার তা বলবোনা,
দিনে দিনে তুমি প্রীতিমা হয়ে গ্যাছো কি না!
অাচ্ছা....
"তোমার সামনে একটা গ্লাস অর্ধেক সুখের অর্ধেক দুখের,
এখন ভাবো গ্লাসের কোন অংশের খরচ তুমি বেশী করছো! কেনোনা-মানুষ হেরে যেতে যেতে একদিন জয়ী হয়, জয়ী হতে হতে অাবার হেরে যায়!
এইবার বলো গ্লাসের কোন অংশ তুমি তুলে রাখছে শেষ জীবনের জন্য"
অাসলে মানুষের জীবনের দুটি পথ খোলা থাকে, যৌবনের প্রথম প্রহরে সে বুঝতে পারেনা কোন পথে হাঁটবে!
হয়তো তখনই সে ভুল করে, যেমন ভুল করে তুমি এসেছো তোমার অামার প্রণত জীবনে।
কবিতার সাথে থাকতে থাকতে কখন কবিতায় গ্রাস হয়ে গ্যাছি তো নিজেই জানিনা.
ভালোবাসা এবং বিশ্বাস দুটোই কল্পনায় ভর করে, এইটুকু বেড়ে ওঠা, এইটুকু অর্জনের ভেতরে জীবনের দীর্ঘ শান্তনা,
গতিশীল রেখে ছলনায় কি অার জীবন বাঁধা যায়?
Now this time.......
I'm tired,
be quiet, and will be when?
When the bird of happiness to my heart torn,
leave me, I'm alone, then you too,
when you come to my love flower decoration?
Any time I go to die.
তাও কি সম্ভব? জীবনের যতো স্বপ্ন সে তো তোমাকে ঘিরে, তরঙ্গের সাথে স্রোতের যে সম্পর্ক তেমনটাই তোমার সাথে অামার,
চেনা জানা তো সেই কবে থেকেই! কখনও প্রেমে পড়ার মতো মনে হয়নি?বা সেভাবে আকর্ষণ করেনি? তবে হ্যাঁ তোমার ভদ্রতা, মিষ্টতা, কণ্ঠের মিহিতা ছিলো মনকাড়ার মতো, তারপর প্রেমে পড়ার মতো! আমার দিকে তাকিয়ে তুমি এভাবেই, কতোকাল ধরে অপেক্ষার তিক্ত অশ্রু ঝরেছে তোমার নয়নে হিসেব অাছে?
চিরো আঙিনা জুড়ে রবি তোমার ই আলো ,
ভালোবাসি বলে তোমায় করবো না কালো .
তোমার একি পরশ স্বর্গ ছায়া জুড়ে ,
আমি যে তোমার ই আছি মরিলেও ফিরে ।
কল্পনাময় কথা! তবুও বাস্তবতায় ভিন্ন নয়, অামি তেমনই।
অাহারনিদ্রাহনি অামি বুঝিনা প্রেমহীনে,
সেখানে না ছিলো আকাশ, না মাটি । শুধু বৃষ্টি ছিলো । সে আমাকে ধূঁয়ে দিচ্ছিলো । ফুঁড়ছিলো তীরের মতো । আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো । আমার সারাটা জীবন জুড়ে যেন আমি শুধু ভিজে যাচ্ছিলাম । এবং তখনি ধীরে ধীরে শিখছিলাম কি করে ঘৃনা করতে হয় ।
ঘৃনা শব্দটাকে আমার বড় ভয়, বড় অপরিচিত । অথচ তাকে নিয়েই আমাকে এখন চলতে হবে, ফিরতে হবে । আমাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে আছে যে সে, সিন্দবাদের দৈত্যের মতো ঠিক ঘাড়টাতে চেপে বসে আছে । আমি কি সেখান থেকে আবারো পুরোনো ভালোবাসার ঘরে ফিরে যেতে পারবো ! স্বাভাবিক কোথাও ! যেখানে আমি ছিলাম এতোদিন, নিজের মনে নিজেই ? পারবে সেই অাগের মতো যোগ্যতার বাছাই বিনে প্রেমিক বানাতে?
বিচিত্র মানুষের মন, নৌকার মতো , বয়েই চলে । কোনও নৌকাই একই ঘাটে নোঙ্গর ফেলে চিরদিন বসে থাকেনা । না নদীতে, না জীবনে ।
সত্য-মিথ্যে বলে যাও, জানার উপায় নেই । এ যেন এক আলাদা জগৎ । বসন্ত বাতাসের মতো । গিরগিটির মতো রঙ বদলানো শুধু , ক্যামেলিয়ন । আনন্দ যতো তারো চেয়ে বেশী ব্যথা, হৃদয় ভাঙ্গার গল্প । এ আমার অনুমান । কোনও ষ্ট্যাটিষ্টিকস্ নেই ।
তুমি অামার প্রণয়া
হ্যা, তুমিই মন, অাত্মার বাঁধন,
কিন্তু দেখো সময়টা কারো হাতে শৃঙ্খলিত হয়ে থাকেনা,থাকতে পারেওনা, অনুমান নয়, মন বলে তাই বলেছি, না দেখে শুধুমাত্র বিশ্বাসের উপর ভর করে যে গভীর একাত্মতা অামাকে নিয়ে ধারণ করে অাছো সেটা তো তোমার অামার বসন, হ্যা বিশ্বাসটাই অামাদের একমাত্র অবলম্বন, যাকে ঘিরে অামরা এখনো অাছি, অার থাকবোও সারাজীবন।
অামাদের যাত্রাটা সত্যের দেয়ালে অাল্পনা অাঁকে, যদিও সময়ের সুদিক অামাদের নেই তবুও অামরা অাঁকিবুকি প্রেমের উন্মাদনায়, দিন যায়, মাস যায়, ঘুরে ঘুরে বছরও গেলো, অামাদের অদেখা সম্পর্কের তিন বছরও পার পার,
কতো মান অভিমানের ভিতরে কাটিয়েছি নিঃসঙ্গ রাত, সুদীর্ঘ দিন, তবুও তো অামরা অাছি, ভাবতে অবাক লাগে!
পৃথিবীর রহস্যের সাথে অামাদের মিল দেখে, ক্যামন অদ্ভুত!
মনে অাছে....একদিন অপেক্ষার অাগ্রাসন সহ্য করতে না পেরে বলেছিলে......
অপেক্ষায় রয়েছি প্রিয়
বলবে তুমি-
আয় তোকে টিপ পড়াবো,
যেনো পূর্নিমা চাঁদ রবে মোর কপাল জুড়ে
তাই দেখে আকাশের তারাগুলো হবে ঈর্ষান্বিত।
শরৎ শশীর দোদুল্যমান কাশফুলের পালকের মতো
উড়ে যাওয়া আমার চুল বেঁধে দিবে
বুনো স্বর্ণলতা দিয়ে,
আর খোঁপায় গুঁজে দিবে বুনো রক্তফুল।
অপেক্ষায় রয়েছি প্রিয়,
আচমকা এসে বলবে আমায়-
প্রনয়া, এই দ্যাখ_
বাসন্তী রং মাখা জংলী ছাপা শাঁড়ীও এনেছি
জড়াবো বলে তোর গায়ে,
তোকে দেখবো -তৃষ্ণা মেটাবো অনন্তকালের জমাট বাঁধা পিয়াস।
হ্যা প্রিয়, সত্যি বলছি
অপেক্ষায় আছি _
জীবন- মরন অপেক্ষায়.....
আমার মান ভাঙ্গানো শেষে বলবে তুমি-
খুব ভালোবাসি তোকে
খুব বেশিই ভালোবাসি ...।
অামিও কি কম ভালোবাসি তোমায় অপেক্ষা অামিও করি,, অাসলে সেটা বুঝানোর ক্ষমতা কোন প্রেমিকেরই থাকেনা,,, তবুও অামি তোমাকে বলতে চাই...
প্রণয়া, তুমি কি জানো?
সুপ্রিয়া তুমি?
তোমার বদন কি অপার্থিব মোহময়তা সৃষ্টি করে!
কি আলো ছড়ায়!
আপ্লুত, অাকুল পাগল,
ঘর ছাড়া করে প্রেমার্থ সুজনে।
বিরহে তোমার প্রদীপ নিভু নিভু
অধরে কি অধর রেখেছো কভু?
পৃথিবীতে এতো জল ঠাঁই ঠাঁই,
তবুও এ ঠোঁট, ঠোঁট, চোখ, চোখ,
আকুল শরীর-ত্বক চৈত্রের উষর ফাটা সাদা মাঠ,
সেই প্রতাশা কি তোমার উজ্জ্বল হয়ে উঠা?
চাঁদনীতে অাপ্লুত ক্রন্দসী,
জোছনায় উচ্ছাস তোমায় দেখে,
অনুপ্রাণীতো হয় সব প্রেমার্থ অভিসারী,
জীবনের কি খেলা! কখন কোথায় কোনবৃত্তে মঙ্গলদীপ মশাল জ্বালায় ভাবনায় তা ফিকে।
জীবন যুদ্ধে কখনোই পরাজিতো হবোনা বলে নিয়তির নির্মম চাবুক খেয়েও আমরা পথে পথে ঘুরি ফিরি-সামনে এগুই।
একটু মুক্ত হাসির জন্য কতোদিন ধরে কান্নার দংশন সয়ে যাই।
ফুল এতো ভালো লাগে গন্ধ পাইনি বলে,
সূর্য আমাদের এতো ভালো লাগে অন্ধকারে দিন কাটাই বলে।
আমরা চলে যাবো
পৃ্থিবী চলে যাবে
তবুও বারে বারে কামনা করি একটি অনুভূতি ভুকম্পের আলোড়ন তুলুক,
আমাদের হৃদয় নড়ে উঠুক,
চেতনার ভূমিখণ্ডে সজীবতা চাই
পরাজিতো সৈনিকের তিক্ত গ্লানির বোঝা টেনের আমরা ঘরে ফিরতে চাই একদিন জয়ী হবো বলে,
অামরা তো কল্পনাতে কখনো হারিনা, তাও তো জানো অামাদের কল্পনারসে কতো অমৃত!!
কল্পনাতে আমি জয়ী,
কল্পনাতে আমি,
কল্পনাতে হাসি কাঁদি,
সুখ আনো যে তুমি।
তোমায় দেখে পথ চলাতে,
হাঁটি স্বর্গপথে,
সুখের পাখি তুমি আমার,
থাকো মনের রথে।
স্বর্গাভাসে ঘর বানাবো,
প্রেমের প্রদীপ জ্বলে,
মেলবে ডানা আলোর পাখি,
বাসর রঙিন ফুলে।
ভাবনা তোমার ব্যথার জ্বালা,
ভাবি বসে আমি,
মনে যখন মন কাড়িগড়,
অনুভবেই তুমি।
স্বপ্ন কি অার কারো কম থাকে, পাশাপাশি কাছাকাছি থাকবার,
একদিন পরন্ত বিকেলে,
সব দু:খ ভুলে,
তোমার ওড়নার আঁচলে,
মনটা দিবো ফেলে,
যদি কোন কালে,
মনে হয় ভুলে,
দেখো নয়ন মেলে,
থাকবো তোমার দোলে,
হাতে হাত রেখে
সেদিন- যাবো নদীর বাঁকে,
জড়িয়ে তোমায় বুকে,
তৃপ্ত হবো সুখে।
যদি ফাগুন হাওয়া থাকে,
আর মনে ছবি আঁকে,
তবে দেখো প্রেমের চোখে,
মনে- কেমন প্রেমিক থাকে!
এসো হে সুআনন্দ
ডাকে ব্যথিতো দেহ নিরানন্দ,
এসো অলকাস্বণী,
অপেক্ষিতো তোমার আমি,
আকাশ বাতাস জল,
যেমন ছিলো তেমনি আছে
জনপূর্ন ধরায়,
যেমন ছিলাম আমি এখন নেই আর ধরেছে হেনো ধরায়,
রূপরসের গন্ধে এসো আনন্দ আমার অভিলাসে,
এসো তাগিদ হাতে
আমার মৃত্যুর শোক বার্তায় সুখের ঠিকানা নিয়ে অতৃপ্ত জীবন দাও তৃপ্ত করে জনম পরজনম ধরে থাকো বাহুডোরে,
এসো আমার চেতনা চৈতন্যে হয়ে,
রাতের অজ্ঞানেরে দাও জ্যোতির্ময় চক্ষু,
এসো আনন্দ চৈতন্যময়ী।
হাড়ের ডুগডুগি তোমার খরগ করে নাচিয়ে তুলো ধরা,
এসো হে অধরা,
তোমায় ছাড়া কি করে বাঁচি
আশায় আছি
যাও মোরে যাচি,
পূর্ন করে নিঃসঙ্গ পাড়া তোমার পিষ্ট করে।
আদরে আদরে দাও ভরে যতন করে,
বুকের মানিক অন্তরের ধন এসো বায়ূপরে,
এসো আনন্দ এসো হে পরম
বাঁচি তোমার আশা করে,
ছিলাম আছি এখনো তোমার তরে।
অামার সমস্ত অনুভূতি,
সমস্ত সুখ শুধু তোমাতে ঘিরে,
অাজ তোমার জন্মদিন,
সবাই আজকে গাইবে ,
কেউ আনন্দের তালে নাচবে তারা হয়ে সুদূর নীলিমায়,
সে আনন্দের সুভাষ মিশে যাবে প্রকৃতির সমস্ত রঙে,
পূর্ণ তরঙ্গে আলোর কনা ভাসবে সাগর জলে ,
জয় হবে আকাশের সব অভয় ,
আজ চন্দ্রাবতীর জন্মদিন।
আমি দূত হয়ে মিশে যাবো আলোক ধাত্রীর অন্তরঙ্গে .
ভালোবাসার না পাওয়া সুখটুকু আমি আজ চেয়ে নেবো
ভালোবাসার মিলন মেলায় সাজাবো ফুলশয্যা ,
তারারা সর্বসুখ ছড়াবে প্রকৃতির মাঝে ,
আমরা হারিয়ে যাবো অজানায়।
গভীর ভালোবাসার হাত ধরে
নীলিমার নীল হয়ে চাঁদের বাড়ী ।
সেখান থেকে জানিয়ে দেবো সমস্ত পৃথিবীকে,
আজ চন্দ্রাবতীর জন্মদিন,
আজ পৃথিবীর জন্মদিন,
আজ আমার ভালোবাসার জন্মদিন ।
মন ভুলে থাকুক,,,,
জমা রাখা কষ্টগুলি,,,
চোখ খুঁজে আনুক,,,
পূর্ণ হবার স্বপ্নগুলি।
Let the mind forgot ,,,,
Keep the pain ,,,
Bring out your eyes ,,,
Dreams come true.
শুভ জন্মদিন, শুভ জন্মদিন,
শুভ জন্মদিন,,,
উৎসর্গঃ মেহেরুন হাবিব'কে।