আমার ভালোবাসাকে কোনোদিনও বুঝাতে পারিনি কতোটা ভালোবাসি, তার জন্য কতোটা ভালোবাসা রেখেছিলাম, আমি শুধু তাকে ভালোই বাসিনি জীবনের সমস্ত গোপন সঞ্চয় উজার করে দিয়েছি ভালোবাসার পায়ের তলায়, তাই আজ তার প্রতিদান দিচ্ছি নির্ঘুম চোখের জলে।
চোখের যে জলে হারানোর দুঃখ দূর হয় সে জলের অপেক্ষায় হয়তো এ অবিরাম কান্না!
সে আমায় কেনো বুঝলোনা??
আমার এতো এতো কবিতার মধ্যে একটা কবিতাও কি তাকে ছুঁতে পারেনি???
যে কবিতা চোখের জল মুছাতে পারেনা, ভালোবাসাকে কাছে এনে দিতে পারেনা তাহলে কেনো দুঃখ ঘুচানোর এই মিথ্যে লেখা!! তার দেয়া কষ্টগুলো এতই প্রখর ছিলো যে কখনোই প্রেমের কোনো সুখের দৃশ্য চোখে আনতে পারিনি।
কষ্ট দিয়ে থেকে গেলেও বাঁচতে পারতাম;
কষ্ট দিয়ে চলে গিয়ে কি প্রমাণ করলো সে??
তার মতোদের ভালো থাকার জন্য হয়তো অনেক কিছুর প্রয়োজন হয়, কিন্তু আমার ভালো থাকার জন্য তেমন কিছুর প্রয়োজন হয়না। সে যখন দূরে সরানোর চেষ্টা করতে থাকলো তখনো তাকে মনের মতোই মনে করেছি, তবে প্রেমিকা মনে করে অযথা কষ্ট পেতে চাইনি। যেখানে শব্দের ভাবনায় জাগিয়ে রাখতে পারি,
ভাবনার গাঁথা দৃশ্যে ক্ষত নেই বলে অদেখার ছবি মনে আঁকতে পারি, তাকে তেমনি একটা বিশ্বাস করি! আর কিছু নয়।
যখন সে প্রতিশ্রুতি দেয়া শিখেছিলো ;
তখন আমি প্রতিশ্রুতি রাখতে জানতাম।সত্য একমাত্র আমিই জানতাম তাকে কতোটা ভালোবাসি, বিশ্বাস করি, কিন্তু সে বুঝতো এসব মিথ্যা!
তার ভেঙে দেয়া সময় গুলোকে জড়ো করে আমি গড়ে তুলি দূরত্বের প্রাচীর নাকি
সিক্ত বিন্যাসে নশ্বর করি বেঁচে থাকার গান?
আমি তো আজো আমার নই অন্ধকার বুঝবো কেমন করে!
আমি তো সেই যে
অদেখা প্রেমের দীর্ঘতম দৃশ্যে জেগে থেকে যে এক রাতও কাঁদেনি!
কারণ আমি জানি-
মেঘের আবর্তে ঘেরা সূর্যের কতটুকু ক্ষয়ে তারপর আলোময় হয় প্রকৃতি।
তার পছন্দ আর অপছন্দের ক্ষমতা যদি ভালোবাসা হয় তাহলে সেটা তার কাছে ভালোবাসা। এখনো যে আমি তাকে ভালোবাসি ঠিক তা না! তার মতদের আমি অন্যরকম ঘৃণা করি। যেটাতে ভালোবাসার অপমান হয়না। শুধু পাহাড় সমান নিরব এক অভিমান থাকে যেখানে প্রেম হারাদের বৃথা আর্তনাদ।
তবে ফিরিয়ে দিলাম তার ঘুমজড়া চোখ, এলোমেলো ভাবনা সবই, তারপর সে তার মতো করে অামি অামার মতো করে ভিন্ন চোখে চোখ মেলবো। অামি দেখবো পানি অার তুমি দেখবে ধারা! দুজন দুধারে চোখ বুজবো। যার কল্পনায় সে নীল হবে অার অামি প্রজাপতি হয়ে উড়বো নীলের অাবীরে।
জানি আর তাকে দেখবো না
বুকের মতো বুকের করে।
এবার তার দেখার পালা!
তাই প্রিয় ভালোবাসার জীবন - ভালো থাকুক আমার একটি রাত নিয়ে, ভালো থাকুক ইচ্ছাকৃত স্বপ্নে তার চোখে না এনে!
সুখ জানিনা বলেই হয়তো পথ পাইনি! আমি তো কেবল পথের প্রেমিক,
যার আর কোনো কেউ প্রেমিকা নেই!
প্রেমিকা নামে বিলাসীর ইচ্ছা নেই,
অামার অন্তরণে শুধু প্রেমের দামামা বাজে। অবুঝ প্রেমের কাছে অামি একটু সুখের আশায় সারা জীবনের দুঃখ ভুলতে পারবো না।
আমার দুঃখ গুলো একটু সুখ পাবার অাশায় দুঃখ হয়নি,হয়েছে অজস্র ভালোবাসার অর্ঘ্যপাত্রে চোখ ধুঁয়ে ধুঁয়ে! বুকের রক্তজমাটে যাঁর আয়োজনে দুর্বা ফুটে অনন্তদাস মাটির বুকে সে প্রেম ছাড়া আর কি হিসেব জানে আমার জানা নেই।আমি শুধু প্রেমই জানি।
জানি এ পৃথিবী আর আলোময় হবেনা জীবনের আকাশে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে না কোনো নিপুণ তারা।
তবুও নাহয়-
নীলাভ আয়োজনে কাটিয়ে দেবো এক রাত!
একটি জীবনের সময়!!!
আমি তো বুঝি ছায়ার মায়ায় কেটে যায় দুপুর থেকে রাত্রি, সূর্য উঠার ভাবনায় অাসেনা অযাপিত সময়। অামাদের ভাবনাগুলো যদি এক হতোনা;অামরা অামাদের কথা গুলো শূন্যে ভাসিয়ে দিতে পারতুম, অামরা অামাদের মতোই ছবি অাঁকতে পারতুম। কারোর জন্য কারো ভাবতে হতো না!
ভিন্নতা পরম বিষাদ।
স্বতন্ত্র চোখে কখনো টান বুঝা যায় না, অনুভব করা যায়না চোখের সাদাকালো।
অামরা কেউ কারো মতে মরতে পারিনা।
মরে যাওয়ার ভাবনায় কেউ কখনো শৃঙ্খলিত হই, নিরবে ছিন্ন করে শোভাময় মায়া। তবুও কেউ কখনো বলে - তুমি কি ছিন্ন হচ্ছো? অাড়াল করছো নিজেকে?
পৃথিবীর এ রহস্যঘন বাঁধন ছিন্ন করা যায়না,
সমাধিকার বলে কখনো কখনো অাড়াল করা যায়। তবুও কেউ কারোর প্রকৃত নয়!
ভাবনার সময়, সীমানা অজানা বলে অনুভূতিশীল হয় হৃদয়।
তপ্ত খরায় চৌচির ছায়া; রাতের অপেক্ষায় ভাবনায় পোড়ে।
অন্তরের ভাঁজে ভাঁজে যাঁর গল্প গাঁথা, পরতে পরতে জলরঙ ছবির মতো যে; সে অদ্বিতীয় কেউ নয়, আপন সত্তায় দখল করেছে মণিকুন্তলা, একমাত্র মৃত্যুর চেয়েও সত্য প্রেমবান এক সূর্য , যে নিজেই জানান দেয় আজানের সময় অসময়, রূপান্তরিত করে নেয় নিজের মতো করে, যে নিজেই প্রেমে আকুল সে প্রেম ছাড়া বুঝেনা নিজে।