এখন অার লেখা হয়না বলে মনে হয় কবিতা লেখা ভুলে গেছি, ভুলে গেছি লাল-নীল ভাবনা।
রাতের অাঁধারে যখন নিজের অস্তিত্ব খুঁজতাম তখন লিখতে পারতাম।
পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠায় বলে দিতে পারতাম অামি কেমন!
রাতের মধ্য যৌবনে ফোটে উঠা শিউলীর ঘ্রাণ ছড়ানো গল্পে মুখরিত চারিদিক,ভাবতে পারতাম তুমি এতো দূরে-কাছে অাসা যাওয়া করো কেমন করে। নিকষ অাঁধার অাকাশে চাঁদ অাঁকতাম, তারপর লিখতাম, স্বপ্নময় দিনগুলো শুধু স্বপ্নই দিয়ে গেলো!
যে কথাটি লিখে-বলে বুঝাতে পারিনি ওটাই বাস্তবতা, যেখানে অামি এক নিঃসঙ্গ পথিক,
রাতদিন না জেনে শুধু হাঁটছি, পর্বত অারোহনের কোন পথই জানা নেই, তবুও উঠতে হবে! যেতে হবে কোথাও না কোথাও; পাহারচূরা, সাগর পেরিয়ে।
অফুরান হাঁটায় কখনো স্বপ্ন দেখা হয়না,
হয়না নিজের সাথে সখ্যতার সঞ্চয়।
অালোকালো হীন পথিকদের স্বপ্ন যা অপ্রকাশিত থেকেই যায়!
অামি মোমবাতি জ্বালিয়ে কবিতা লিখতাম,
নীল ডায়রীর সাদা কাগজে কালো কালো বর্ণগুচ্ছ কখনো কখনো হাসাতো! শতাব্দীর পুরনো শব্দগুলো অামাকে ঘুমহীন করতো,
এখন তার অনেক পরিবর্তন! ঝুলন্ত পূর্ণিমায় কেটে যায় রাত, মনে হয় কোনোদিন শুনবো, তুমি বেঁচে অাছো,তুমি নেই।তুমি থাকবে, তুমি থাকবেনা,তুমি যুবা তখন,তুমি প্রবীণ এখন, তোমার অতীত বর্তমান, ইহকাল পরকাল সবই অামার কাছে সুন্দর ও প্রিয়!
অামি তো অামার কাছে নেই, স্বপ্নের শয্যায় ভেসে গেছে অনেক সময়, এখন বলতে পারিনা অামি কখনো কবি ছিলাম!