//সুস্থ ভাবনা দিয়ে আসে সুবিচার//

অবিচার সহে সহে বারবার
ভোগ করতেই হল দুর্ভোগ
প্রতিবাদ, তাও করে দিলে বাদ
অভিযোগ হলো না কোথাও যোগ।

কেন কেন কেন হয় অবিচার
দ্বন্দ্ব কলহ দূর করতেই
আছে দুষ্কর্ম ও অপকার
এ সবের সুরাহা তো বিচারেই।

সুবিচার আশা করা ভুল নয়
অবিচার হলেই তো সেটা ভুল
অবিচার থেকে লাভবান কেউ
সেই খুঁজে পায় কাঙ্ক্ষিত কূল।

প্রতি ক্ষণে জীবন কি খুঁজবে!
ভালো লোক খুঁজে বের করবে
একজন খুঁজে পেলে, হবে না
চারপাশে ভালো লোক থাকবে।

যে সমাজে আমি আছি এই ক্ষণে
আছে ভালো লোক এই সমাজেই
মন্দ লোকের দেখা পাওয়া যাবে
এবং তা জানা যাবে মন্দ কাজেই।

যে মন্দ, সে কি চায় অবিচার!
ব্যস্ত সে করতে নিজের বিচার
বাকি বিচারের ভার পেয়ে গেলে
করবে না কিছুতেই সুবিচার।

যে মেনেছে কুকর্ম অতি উত্তম
দুষ্কর্মে ডুবে যাবে হরদম
এ যে ভুল, মন তার মানে না
সোজা পথ তার কাছে শুধু ভ্রম।

শক্তের ভক্ত, নরমের যম
প্রবাদের ব্যাখ্যায় নেই তো রকম
সকলের সায় এই প্রবাদেই
ব্যাখ্যা কি বলবে নরম অধম!

সমাজ তৎপর দিতে সুবিচার
সর্বদা খোলা আছে আদালত দ্বার
বিচারের সময়সীমা নেই, তাই
সময় দীর্ঘ মানে সেটা অবিচার।

সংশোধনের দাবি উঠেছে
সরকার দাবি মেনে নিয়েছে
আদর্শ প্রণালী পাওয়া অসম্ভব
অপরাধ সংখ্যা যে ক্ষণে ক্ষণে বাড়ছে।

আদর্শ সমাজ গড়ে তুলতে হলে
সব ভাবনাতে চাই পরিবর্তন
ভাবনা সুস্থ হলে নেই অপরাধ
সুস্থ ভাবনা দিয়ে ভুল অপসারণ।

সুবীর সেনগুপ্ত