//প্রকাশের যাই অবকাশ//
বলতে দিল না, বাড়ী ফিরলাম দুঃখে
থাকতেই হলো নিজের মনের পক্ষে।
বলার জন্য মন হলো আনচান
কী করি কী করি ভাবনাই দিল টান।
কথাগুলো মনে ঘুরপাক খেয়ে যাচ্ছে
সেগুলো কোথাও থাকার চেষ্টা করছে।
চোখ চলে গেল খাতা কলমের দিকে
মন বলে দিল সব রাখো লিখে লিখে।
বলতে পারলে কথার প্রকাশ হতো
সেটা তো হয়নি তাই মন দুঃখিত।
লিখে রাখলেও সেটা কি প্রকাশ নয়!
সেটাও প্রকাশ, জানলো না কেউ, হায়।
হয়তো কখনো কেউ এই লেখা পড়বে
পড়লে কি সেটা প্রকৃত প্রকাশ হবে!
নির্জনে থেকে যদি কিছু বলে ফেলি
কথা খুঁজে নেবে বাতাসের অলিগলি।
কেউ না শুনলে হলো না ঠিক প্রকাশ
কেউ না পড়লে প্রকাশের নেই অবকাশ।
কত কত লেখা আঁধারেই ডুবে মরছে
পোকা মাকড়ের আঘাতে ধ্বংস হচ্ছে।
আজকের যুগে কাগজে প্রকাশ হচ্ছে
বহু মুদ্রণ প্রকরণে হয়ে যাচ্ছে।
ছিল না যখন কোনো মুদ্রণ প্রকরণ
পাথরে খোদাই করার ছিল কারণ।
প্রকাশ করার ইচ্ছা নতুন নয়
বহু পুরাতন ইচ্ছার কথা জানা যায়।
সাধারণ ভাবে প্রকাশ হচ্ছে কথাতে
হচ্ছেও প্রতিদিন তাই পথে চলতে।
প্রকাশ না হলে কী ভাবে হবে প্রচার!
প্রচার না হলে খুলবে না কোনো দ্বার।
লেখক আর কবি লিখেই চায় না থামতে
মন ছটফট করেই প্রকাশ করতে।
প্রকাশ এবং প্রচার সমাজে প্রয়োজন
এই প্রয়োজন মেটানোর আছে আয়োজন।
সুবীর সেনগুপ্ত