//পড়ার খুশীর বিকল্প নেই//
যত পড়ি, তত মন হয় বিস্তৃত
লেখার খোরাক, তত মনে জমা হয়
এ তো স্বাভাবিক, লেখার কামনা জাগে
খাতা ও কলম, যোগ সূত্রের আঙিনায়।
নিজস্ব যত ভাবনা, সবই স্বাধীন
দখল দিতে কি পারে কেউ, সেই ভাবনায়!
পারে না, পারে না, তাহলে কীসের চিন্তা!
লেখার খোরাক, না পড়েও পাওয়া যায়।
ভাবনাতে পরিপূর্ণ প্রতিটি মন
সব ভাবনা কি, হয় সচেতন মনে!
হয় না, তাই তো খোরাকের প্রয়োজন
খোরাক যোগাতে, আমার সাধন পঠনে!
একটা বিষয়, যাকে ঘিরে লেখা চলে
সেটার উৎস, শুধু কী হবে পঠন!
চোখের সামনে, সব আছে যাহা পুস্তকে
সর্বক্ষণের দেখা তুচ্ছের ঘরে ধন।
বিষয়-বিহীন লেখা সম্ভব হয় তো
জটিল অর্থে, শব্দের লেখা আমূর্ত
আছে কল্পনা, তাও তো লেখার উৎস
বিষয় নিয়ে, ভাবতে হয় না অবিরত।
অনেকেই পড়ে, কিন্তু কিছুই লেখে না
তাঁরা পড়ে পায়, অনন্য এক অনুভূতি
যাঁরা বই পড়ে, এটাই প্রগাঢ় শখ
পড়ার সঙ্গে, জুড়ে নেই রাজনীতি।
পড়া এক কাজ, যেটা হয় অবসরে
লেখাও তো তাই, নিত্য কাজের বাইরে
বলা কী যায় না, পড়া আর লেখা শখ!
নিশ্চয়ই শখ, তুলনা হয় না ভাইরে।
জ্ঞানের বৃদ্ধি, হবে নিশ্চিত পড়াতেই
অতি শখে পড়ি, উপন্যাস আর গল্প
কিছু মানুষের শখে থাকে কবিতা
পঠনের খুশি, পায়না খুঁজে বিকল্প।
আজ নয় প্রাগৈতিহাসিক যুগ
বার্তা জ্ঞাপনে নির্ভর নই শব্দে
শিখেছি লিখতে, শিখে গেছি পড়তে
বার্তা জ্ঞাপন, হবে নীরবে বা সশব্দে।
পড়ে আনন্দ, আনন্দ লেখাতেও
কার কীসে আসে, তাঁরই জানার কথা
প্রশ্নই নেই, এতে দখল দেওয়ার
দখল দেবে না, মান্যতা পাওয়া বিধাতা।
সুবীর সেনগুপ্ত