//পাগলের বাঁচা, সেটাও অর্থপূর্ণ//

পাগলের পালে যত পাগলামি
তাতে রঙ আছে খুব দামী দামী
এতে কোনো ভাবনার অবকাশ কই!
অবকাশ আছে, খুঁজতে তো জানা চাই।

পাগলের বলা, শুনে ডলে ফেলা
পাগলের দেখা, কাটে না তো রেখা
কিছুই কী নেই পাগলের! যেটা গন্য
তাই যদি হয়, তবে তো পাগল অনন্য।

পাগলের প্রাণ, কত সন্মান!
যত সম্মান, সবই অনুমান
সেই কারণে কি পাগলের অবহেলা!
এর প্রভাব কি পাগল কে দেয় ঠেলা!

পাগলের হাসি, শুরুতেই বাসি
কেউ তো হয় না এ হাসির দাসী
কিন্তু পাগল তার প্রয়োজনে হাসবে
ঠিক না কি ভুল নির্ণয় হবে কী ভাবে!

পাগল কি ভাবে, পাগলের জানা
কখনো তা নয়, মানুষের চেনা
যদি চেনা হতো, তাহলে কি হতো কি হতো!
যা হতো, সে সব ভবিষ্যতেই জানা যেত।

বলছে শুনছে কাঁদছে হাসছে
প্রয়োজন মতো খাবার খাচ্ছে
কে পূরণ করে তার প্রয়োজন জগতে!
তাকে দেখলেও,পরে কতবার ভাবনাতে!

মাথা ভরা জটা, ভ্রুক্ষেপ নেই
বস্ত্র শরীরে, তা কি সে জানেই!
জানে না, এ কথা বলাই তো বাহুল্য
জানলে তো হতো, তার জীবন মহা মূল্য।

আজ সে ভাবে না কে জন্মদাত্রী
সেদিন ছিল কী দিন বা রাত্রি
সব জানা ছিল, কখনো অতীত সময়ে
ভাবতে পারে না, কি ভাবেই গেছে হারিয়ে।

পাগল হয়েছে থাকবে পাগল
যে জগতে বিচরণ, তা বিরল
সেই জগতের কিচ্ছু আমরা জানি না
জানি না বলেই, মান্যতা দিতে পারি না!

পাগলও মানুষ, একথা সত্যি
তারও আছে অনুভব অনুভূতি
কেন সে হবে না সহানুভূতির যোগ্য!
অবহেলা করে, কেন ভাবি সে অযোগ্য!

সুবীর সেনগুপ্ত