//অবশ্যম্ভাবী নির্বাচন//

দরকার আছে শব্দ নির্বাচন
কথা ব্যবহারে তাই করে যায় মন।

কিন্তু কথাও প্রেক্ষিতে যায় বদলে
একই শব্দের ওলট পালট করলে।

হাঁটাহাঁটি করা, কথা বলা, কথা শোনা
সাধারণ কাজে প্রতিটি জীবন বোনা।

গুরুত্বপূর্ণ কিংবা কাজ হবে সাধারণ
থাকতে পারে না আড়ালে নির্বাচন।

দরকার আছে কথা শুনে কথা বলি
আরো দরকার স্বাভাবিক ভাবে চলি।

জলখাবারের খাওয়া হয় যেরকম
দুপুরের খাওয়া হয় না সেই রকম।

সময়ের সাথে নির্বাচনের যোগ
নির্বাচনের থেকেও হয় বিয়োগ।

দরকার আছে একটি ভালবাসার
সেখানেও জুড়ে নির্বাচনের তার।

বাছাই করছি প্রায় প্রতি পদে পদে
যা বাছাই করি, চাই তা চলার পথে।

বাছাই না করে কোন কাজে মন বসে!
সতর্ক মন ধরায় ভাঙ্গন বিশ্বাসে।

গাড়ি কেনবার সামর্থ্য যেই হল
নির্বাচনের কাজ শুরু হয়ে গেল।

দিতে পারা যায় অনন্ত উদাহরণ
ইচ্ছাই নেই দিই এই কাজে সঁপে মন।

দরকার এলে, আসবে নির্বাচন
নির্বাচনের পরে অমলিন দর্পণ।

দরকার আর নির্বাচন খুব জরুরী
অর্থপূর্ণ হবে না ভেবেও, করি।

অজ্ঞাতসারে সব্বাই করি নির্বাচন
করাই যায় না এর কোন এক বিশ্লেষণ।

আমাদের আছে কিছু বুনিয়াদি প্রয়োজন
দৈনন্দিন যেগুলোর হয় আয়োজন।

সব আয়োজনে নির্বাচনের স্পর্শ
দারুন নির্বাচনে মনে জাগে হর্ষ।

অবশ্যম্ভাবী হয়ে গেছে বাছা-বাছি
আগে বাছা-বাছি, তারপরে কাছাকাছি।

চাহিদা বাড়লে বাড়বে নির্বাচন
সূক্ষ্ম ভাবনা নির্বাচনের এক সাধন।

সাদা আর কালো কিংবা রঙিন বস্ত্র
কোনটা কিনব, নির্বাচনই অস্ত্র।

কোন কাজে নেই কখনো নির্বাচন!
খুঁজে পেলে বলো, ধন্য হবে এ মন।

সুবীর সেনগুপ্ত