//লিখে দিলে সেটা মান্যতা পায়//
লিখিত রূপেই দিয়েছ যখন
খাতা ভরে ভরে আশ্বাস
কী ভাবে অস্বীকার যে করছ
ভেঙেও দিচ্ছ বিশ্বাস।
অস্তিত্বের ফলেই গড়েছে
শত শত কাজ ভূবনে
প্রণত হয়েছে আইনের ধারা
এক সুরে এক তানে।
নিতেই পারি না কোন কিছু আমি
দিয়ে মিথ্যের আশ্বাস
আসলে এটা তো কেউই পারেনা
কেউ কারো নয় দাস।
আমরা গঠন করেছি যন্ত্র
যন্ত্র জিনিস গড়ছে
এক যন্ত্রের প্রতিটি জিনিস
এক রূপ নিয়ে থাকছে।
মানুষ কী নয় একটা যন্ত্র!
যদিও খুব স্বতন্ত্র
তবুও তো মেনে চলতেই হবে
আইন আসল রত্ন।
আইনের থেকে সকলে পেয়েছি
কথা বলবার অধিকার
সেই অধিকারে নেই গালাগালি
অপ শব্দের ব্যবহার।
বকবক করে যাই অহরহ
কথা মিশে যায় বাতাসে
বাতাস ফিরিয়ে দেয় না তো কথা
জমা হয়ে থাকে আকাশে।
আর লিখে দিলে মান্যতা থাকে
দিয়ে থাকে আদালত
প্রমাণ হলেই কে লিখে দিয়েছে
শাস্তি হবেই আলবৎ।
অনেকেই পারে ভোলাতে কথায়
ভুল করে ফেলে কেউ
তারপরে সে কী তুলতেই পারে
কোন প্রতিবাদ কেউ!
মৌখিক যত আশ্বাসগুলো
সেগুলোর নেই দাম
কেউ যদি নেয় বিশ্বাস করে
ভালো নয় পরিণাম।
আশ্বাস দিয়ে ঋণ নিয়েছিলে
মানবে না নাকি ঋণী!
ভালোয় ভালোয় ফেরত না দিলে
টানতে হবেই ঘানি।
ইচ্ছাকৃত ভুলের মাশুল
দিতে হয়ে যাও প্রস্তুত
চোখে আঙ্গুল দিয়েই দেখাবো
কোথায় তোমার খুঁত।
নিয়ে সহায়তা দিয়ে দেবে ধোঁকা
একসাথে দুটো হয় না
প্রমাণ তোমাকে করতেই হবে
তোমার কথাই গয়না।
সুবীর সেনগুপ্ত