//কোথাও রাখতে যাব কেন ক্ষত চিহ্ন//
মনে হয়েছিল কখনো অবিশ্বাস্য
মসজিদ ভেঙে গড়ে তোলা হবে মন্দির
এ তো অন্যায় নিশ্চিত ভাবে অন্যায়
সেই কারণে কি আদালতে বেড়েছিল ভীড়।
বহু মানুষের আস্থাই হল প্রেরণা
এই প্রেরণাই দিয়েছিল মনে শক্তি
ভেঙেছিল এক পরিত্যক্ত মসজিদ
প্রাণের আহুতি থামাতে পারিনি ভক্তি।
কারণ রহিত ভাঙলে তো সেটা ভুল
ভাঙার জন্য কোন সংজ্ঞাটা অনুকূল!
নিজ সামগ্রী ভাঙতেই পারি আমি নিজে
পর সামগ্রী ভাঙলে কি কেউ দেবে ফুল!
বহু নির্মাণ শুধু জনতার দখলে
ভুল বলা হবে নিজ সম্পত্তি বললে
জনতার তরে যা কিছুই গড়ে সরকার
সব সকলের, ঠিক হবে মেনে চললে।
মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির গড়া অনুচিত
ঠিক উল্টোটা হলেও বলবো নয় রীত
কারা ভেঙে ফেলে মন্দির আর মসজিদ!
যাঁরা ভাঙে, তাঁরা অননুরাগের গায় গীত।
বিচারের বাণী কাঁদতে থাকলে আড়ালে
কে আর চাইবে বিচার, বলো তাহলে!
চলবে সকলে বিনাশেরই পথ ধরে
সঙ্গীন হবে প্রত্যেক প্রাণ ভূতলে।
মানুষের কাছে ধর্ম এক মূল মন্ত্র
ধর্মের কাছে রীতিনীতি হলো যন্ত্র
যে যেই ধর্মে সেই যন্ত্রের ব্যবহার
থাকতে পারে না এতে কোন ষড়যন্ত্র।
সবাই মানুষ, হলেও ধর্ম ভিন্ন
ভাবতেই হবে সবাই আমরা অভিন্ন
একটি শরীরে একটি মন নিয়েই
কোথাও রাখতে যাব কেন ক্ষত চিহ্ন!
ভাঙ্গা নয় কোন মসজিদ আর মন্দির
শুধু গড়ে তোলা মনুষ্যতার এক নীড়
সেই নীড়ে থাক পবিত্র সব বিবেক
সকল লক্ষ্যে থাক সেই পবিত্র তীর।
সুবীর সেনগুপ্ত