//কথা বরণীয়, যায় না আড়ালে//
কী কী হতে পারে, কেন হতে পারে
নীরব থাকলে এই পরিসরে!
এই জ্ঞান যদি না থাকে আমার
যে পদে আসীন, সেটা নড়বড়ে।
কর্মের সাথে জুড়ে আছে দায়
দিতেই পারি না দায়কে বিদায়
তা যদি নাই হ্য়, নীরবতা কেন!
বলছি না কেন সত্য ধারায়!
কার অধিকার নীরব থাকার!
কিংবা সময়ে সরব হওযার
এই অধিকার নিজের দখলে
অধিকার খুলে দেয় নাকি দ্বার!
মানুষের আছে বহু অধিকার
এখান ওখান সেখানে যাওয়ার
কথা বলাও তো আছে অধিকারে
কোনো প্রেক্ষিত ধরে হ্য় অসাড়।
যে কোনো কথাই হয় প্রেক্ষিতে
প্রেক্ষিত নেই, কথা অনুচিত
অনুচিত, তবু বললে কী দোষ!
বেমানান কথা গড়ে না যে ভিত।
নিজ অধিকারে শিশু কথা বলে
মায়ের সঙ্গে আদরের ছলে
এই পরিবেশে নেই প্রেক্ষিত
কথা বরণীয়, যায় না আড়ালে।
কথাহীন এই জীবন হয় না
প্রতিদিন কথা, এ নয় ধারণা
সাময়িক ভাবে নীরব থাকলে
সেরকম কোনো ক্ষতিও হয় না।
সুন্দর কথা প্রতিটি চাওয়ায়
কর্কশ কথা গ্রহণীয় নয়
তৎসত্বেও হয়ে যেতে থাকে
বিশোধন করে নিলেই তো হয়।
কোন ঢঙে কেউ বলবে যে কথা!
এই বৈশিষ্ট্য ঠিক হয় জনমে
কিছুটা শোধন পরে করা যায়
আর সেটা হয় ইচ্ছারই দমে।
নীরবতা হলো স্বর্ণ সমান
সদা নীরবতা হবে কী কাম্য!
তা যে নয় এ তো সকলে বলবে
সুচারু কথাতে জীবন রম্য।
সুবীর সেনগুপ্ত