//কেবল সুস্থ ভাবনাই থাক কামনায়//
ভাবনাগুলো নতুন কিংবা পুরনো
ভাবতেই পারি, নিষেধও নেই, জেনো।
ভাবনা সমূহ নতুন হলেই ভালো কি!
নতুন তো সব হবেই ভালো, নয় কি!
জুড়তেই থাকে ভাবনায় ভাব সব্বার
কিছুই লাগে না আনতেও ভাব আবার।
এই এক জিনিস আছেই সবার ঝুলিতে
যেমন ইচ্ছা সকলেই পারে গড়তে।
চিন্তা এবং ভাবনা সকল প্রাণের
ভাবনা হবে না জিনিস কোন দানের।
ভাবনার এই নিরাপত্তার বালাই
ভাবনাকে মেরে পুড়িয়ে হয় না ছাই।
শিশুর ভাবনা তার মধ্যেই থেকে যায়
একদম শিশু শেখেনি যে কথা, হায়।
পরিকল্পনা আমরা সবাই করি
এতে ভাবনার সত্যিই বাহাদুরি।
কি করবে না বলো তো কল্পনা!
বিধাতার দেওয়া এই অধিকার জানা।
পাশাপাশি বসে দুজনেই ভেবে চলেছি
কিন্তু জানিনা কে কখন কী যে ভাবছি।
ভাবনা তো আসে, জানি নাকি কোথা থেকে!
এই এক জ্ঞান, মাথায় কারো কি ঢোকে!
ভাবনা মানেই সাথে চলে আসে মন
ভাবনা বোধহয় মনের আচরণ।
বোধহয় বলাটা হয়ত হবেনা ঠিক
ভাবনার বিশ্লেষণ যে সব বেঠিক।
ভাবনার কোন উৎসই খুঁজে পাই না
যতটুকু জানি সবই সবার ধারণা।
সজ্ঞানে যত ভাবনা, কাজে লাগাই
নীদ্রাতে যত ভাবনা সব হারাই।
কখনো ভাবনা হয়ে যায় এলোমেলো
তখন ভাবনা নিশ্চিত হয় খেলো।
বয়স বাড়লে ভাবনাও পরিপক্ক
অল্প বয়সে ভাবনা হয় না পক্ক।
আমিই মালিক আমার সব ভাবনার
এই মালিকানা স্থাপিত হয়েছে বারবার।
চিন্তাধারার আর এক নাম ভাবনা
ভাবনাকে সাথে নিয়ে হয় বিবেচনা।
উৎস জানি না, জানিনা থাকার স্থান
যেটা জানি সেটা সবটাই অনুমান।
সুস্থ ভাবনা, সেটাই কামনা জীবনে
অন্যথা হলে, ধাক্কাই আসে মননে।
লিখছি কবিতা, ভাবতে পারি বলেই
আসলে ভাবনা প্রত্যেক কাজে লাগবেই।
দিতেই পারো না আমার ভাবনা তুমি
আন্দাজ করে গড়বে কি রণভূমি!
নিজের মূল্যবান সম্পদ ভাবনা
রাখলে আদরে কখনো দেবে না তানা।
ভাবনাকে নিয়ে অনেক লেখাই যায়
সব কি প্রকাশ করা সম্ভব হয়!
তবে হয়ে যাক এখন এই লেখার শেষ
আবার লিখব ভাবনা হলে বিশেষ।
সুবীর সেনগুপ্ত