//কার কীসে সুখ//

কে কেন লিখবে যখন তখন!
লিখবে না কেন! প্রশ্ন গঠন
কী কী হবে তাঁর লেখার বিষয়!
অযথা প্রশ্ন গড়া অকারণ।

অজানা উৎস আদেশ পাঠাবে
আদেশে কী নির্ঘন্ট থাকবে!
আর কী থাকবে! সবই অনুমান
অনুমান করে সুখ কী আসবে!

আমি জানি, খুব ভালো করে জানি
আমার সুখের উৎসের খনি
খনি মানেই তো আছে বহু কিছু
মন যেটা চায়, সেটা তুলে আনি।

আমিই গড়েছি উৎসের খনি
প্রয়োজন নেই করি কানাকানি
প্রত্যেকে চায় উৎস গড়তে
ঠিক অধিকারে নেই টানাটানি।

লেখার সঙ্গে সুখের কী যোগ!
লেখার উপর কেন থাকে ঝোঁক!
লেখার বাইরে আছে বহু কাজ
করাই যায় না সব কাজ ভোগ।

ভোগের অর্থ খোঁজার প্রয়াস
আসতে পারি না কোনো সিদ্ধান্তে
লিখে কিছু সুখ পেতে কী পারি না!
সুখ আর ভোগের আমরা কী দাস!

সুখের আর এক নাম কি তৃপ্তি!
এই ভাবনার আছে কি ভিত্তি!
আমার দখলে যে অভিজ্ঞতা
তাতে মনে হয় সুখই তৃপ্তি।

কারো লিখে সুখ, কারো ঘুমিয়েই
কারো খুব সুখ গাড়ী চালিয়েই
আলসেমি কারো সুখের কারণ
যে যাঁর সুখের সংজ্ঞা দেবেই।

লেখা নিয়ে কথা, এসে গেল সুখ
লেখার যে কাজ নয় দরকারী
লেখা ভালবাসে, আছে কেউ কেউ
তাঁরা তো হবেই লেখার পূজারী।

তাই আমি বলি, প্রশ্ন কোরোনা
যে লিখছে তাঁকে থামতে বোলোনা
লেখার জন্য হয়েছে কী ক্ষতি!
নিজস্বতায় ব্যাঘাত এনো না।

সুবীর সেনগুপ্ত