//যে কাজ অসৎ, প্রকাশিত হবে//

স্পষ্টই ছিল ইঙ্গিত খানি
তারপরে ছেয়ে গেল নীরবতা
পরস্পরের দিকে চাওয়া চাওয়ি
কেউ করছে না কোনো বিরোধিতা।

অসৎ কাজের কুৎসিত ছবি
কথা দিয়ে গড়বে না কোনো কবি
তবে হয়ে যাবে সে ছবি প্রকাশ
আছে কোনোখানে প্রকাশের চাবি।

মন্দ কাজের যে উৎপাদক
বলা তো যাবেই সেই উদ্ভাবক
ভাবনার হয়ে যাচ্ছে পালন
অযথা ভাবনা হবেই তো টক।

উৎপাদকের সামনে প্রশ্ন
গড়বে কি ছাঁট কিংবা রত্ন!
গড়ছে যখন থাকবে কারণ
যা গড়ে ফেলল, করবে যত্ন।

যার মনে আছে অসৎ ভাবনা
এই সমাজেই তার উপস্থিতি
আছে মিলেমিশে সকলের সাথে
তাঁকে নিয়ে কারো নেই ভয় ভীতি।

ছেড়েই দিয়েছে যত সোজা পথ
উল্টো পথেই চলে তার রথ
ভাবতে পারে না বিপদ আসবে
ভাবার কারণ হারিয়েছে মত।

সে বুদ্ধিমান, চতুর মানুষ
বলতে পারি কী সে খুব মেধাবী!
যে যাই ভাবুক, আমি তো ভাবি না
আমি মনে করি, নীতিভ্রষ্ট গরবী।

অসৎ লোকের সংখ্যাটা কম
তাঁরা বুঝে যায় ছল ও চাতুরী
এই দুই আর সাথে দুঃসাহস
সফলতা পেয়ে যায় কাড়িকাড়ি।

অসৎ পথেই থাকতে থাকতে
ভুলে যায় আছে বহু সৎ পথ
বেপরোয়া হয়ে মন ছুটে চলে
মনে করে প্রতারণ করা সৎ।

কোন কিচ্ছুই থাকে না আড়ালে
কোন একদিন প্রকাশিত হয়
জনমত গড়ে ওঠে বিরুদ্ধে
ছল- চাতুরীর অবসান হয়।

সবার কামনা এক নয়, জানি
সবাই অসৎ হতেই পারে না
কামনা হলেও ভিন্ন ভিন্ন
ভিন্ন কামনা সততার ডানা।

শান্তি হারিয়ে যায়নি ভূবনে
সমাজ রেখেছে তার অস্তিত্ব
সমাজের সংখ্যাধিক অংশই
সৎ পথ ধরে চলছে নিত্য।

সুবীর সেনগুপ্ত