//জ্ঞানের কি কেউ হবেই প্রণেতা!//

করুন করুন করেই জানুন
জানার অন্য পথও রাখুন
কখনো আবার দেখেও জানুন
কিংবা শুনেও জানতে থাকুন।

জানতে হবেই এ তো মানবেন
কিছু না কিছু তো জেনে রাখবেন
জানার পরেই পথে চলবেন
ঘরে থাকলেও স্বস্তি পাবেন।

কোনো ক্ষণে এক জন্ম তো হলো
রাম শ্যাম যদু মধু কে যে এলো!
কিচ্ছু জানি না, প্রাণ এসে গেল
আমাদের দেওয়া পরিচয় পেল।

প্রাণ কেন এলো! সবই অনুমান
যার যা ধারণা তাই নিয়ে তান
প্রাণ চলে যাবে, নয় অনুমান
প্রাণ আগমন বিধির বিধান।

প্রাণ গড়ে নিল একটি জীবন
জীবন পাবেই হাওয়া ও তপন
এই দুই ছাড়া, চাই কিছু সাধন
আর তাই পেতে জ্ঞান আহরণ।

সাথে না গিয়েও কোন প্রয়াসের
কিছু জ্ঞান হয় প্রতিটি মনের
যা নয় প্রচুর, চাই আরো ঢের
জ্ঞান দিয়ে পাওয়া হবে সাধনের।

যেটা জেনে নিই, জ্ঞান হয়ে যায়
আরও জেনে জ্ঞান বিস্তার পায়
চলার প্রতি পথে জ্ঞান সহায়
এটাই জানার কারণ ধরায়।

দেখতেও হবে, শুনতেও হবে
সাথে সাথে কিছু বলতেও হবে
আর ফল হলো কিছু জানা যাবে
যা যা জানা গেল, তাই ধন হবে।

জ্ঞানের থাকে না ক্রেতা বিক্রেতা
তবে নিশ্চিত থাকে জ্ঞান দাতা
জ্ঞানের কি কেউ হবেই প্রণেতা!
জ্ঞান প্রবাহিত এ তো জানা কথা।

পড়াশোনা করে বহু কিছু জানি
অভিজ্ঞতার থেকে জানা মানি
অভিভাবকের জ্ঞান থেকে ঋণী
জ্ঞান করবে না কভু অভিমানী।

একবার যেটা জানা হয়ে যায়
সেটা জ্ঞানে পরিণত হয়ে যায়
আজীবন সেই জ্ঞান থেকে যায়
হারানোর নেই কোন সংশয়।

কোন পদ্ধতি কে কখন নেবে
জানার জন্য নিতেই তো হবে
জীবন জ্ঞানের, জ্ঞান জীবনের
বললে কি খুব ভুল হয়ে যাবে!

সুবীর সেনগুপ্ত