//এক রাজ্যের একটি ঘটনা//
সেই ভাবনাটা আজ মিলে গেল
রাগ যত ছিল, প্রশমিত হলো
সন্তের বেশে বদমাশ হলো গ্রেপ্তার
অবসান হলো লক্ষ হাজার প্রতীক্ষার।
কেন তুমি বলো বদমাশ তাঁকে!
কেন যে ফেলছ আমাকে বিপাকে!
জানোনা কী তুমি সমাজ বিরোধী কাজগুলো!
সে তো প্রকাশ্যে যা করার তাই করেছিল।
সমাজের সাজ মানুষের দায়
মানুষ আবালবৃদ্ধবনিতায়
সকলে চাইলে, তবেই সমাজে ছন্দ
সকলে চায়না বলেই তো নিরানন্দ।
ভয়ে আতঙ্কে ছিল সেই জেলা
একমাত্র সেই করে যেত খেলা
বাকীরা সবাই মেনে নিত নীরবতা
প্রশাসন ছিল তার মদতের মাথা।
গুড় বাতাসা আর আফিমের সাথে
তার ইচ্ছাপূরণ হতো দিনে রাতে
সাক্ষাতে সে তো পুলিশকে দিত গালি
প্রশাসন দিত ভরা উপহার থালি।
প্রেসিডেন্সিতে স্থান হয়েছিল
রাজ্যের কারাগারে রাজা ছিল
ভাগ্যের পরিহাসে আজ মেহমান তিহারে
বছর ঘুরেছে, আসতে পারেনি বাহিরে।
চুরি করা সম্পদ বাজেয়াপ্ত
কারাগারে বসে সে সর্বশ্রান্ত
চেলা চামুন্ডা আজও ভাবে ফিরে আসবে
এখন ইঁদুর, আগামীতে বাঘ হবে।
চুরি জোচ্চুরি আর প্রতারণা
অসদ উপায়ে ধন আনাগোনা
একটি ব্যাপারে সে ছিল ভীষণ সৎ
উপর মহলে পাঠাত সে ধন আলবৎ।
উপর মহলে বড় বড় মাথা
তারা ছিল পরিপোষণের দাতা
বুঝতে পেরেছে বিপদ ঘনিয়ে আসছে
চুরির টাকাতে উকিলের হাত ধরছে।
আগে কী যে হবে, সেই আলোচনা
চায়ের দোকানে জ্ঞান বিবেচনা
কিন্তু এদেশে গণতন্ত্রের জয়জয়কার
বড় বড় মাথা ভরবেই ঠিক কারাগার।
কাজ যত বড়, ততই জটিল
সমাধান হলে, বড় বড় কিল
সেই আশাতেই আমরা সবাই অপেক্ষাতে
সে সময় নেই আর বেশী দূরে আদতে।
সুবীর সেনগুপ্ত