//দৃষ্টি শ্রবণ মানে না বারণ//

যা কিছুই ঢোকে মনের ভিতরে
বিশ্বাস করে রাখব কি ধরে!
সব রাখব না, এবং কেউ তা রাখে না
সব কেন নয়! প্রয়াসে জানাও যায় না।

শুধু কি ঢুকছে মনের ভিতরে!
ঢুকছে প্রতিটি দৃষ্টির ঘরে
আর দুই কানে কত কি ঢুকতে থাকছে
ঢুকছে, কিন্তু কত কি হারিয়ে যাচ্ছে।

জন অরণ্য থেকে বহু দূরে
এক অরণ্য উদ্ভিদ ভরে
সেই অরণ্য ভাবাতে পারে না আমাকে
কিছুই পাই না সেই অরণ্য থেকে।

সেই অরণ্যে যেদিন গেলাম
চোখ কান মেলে সজাগ হলাম
অনেক কিছুই পেলাম মম দৃষ্টিতে
বাকি সব ঢুকে গেছে কানে ধ্বনিতে।

আজ যা পেলাম জানতাম নাকি!
জানাই ছিল না, লাল নাকি খাকি!
অচানক পাওয়া সকলেই পেয়ে যায়
এ যেন বিধাতা হিসেবে করেই দেয়।

কর্ণ ধরবে অনেক শব্দ
দৃষ্টিতে বহু কিছু আবদ্ধ
না চোখ না কান সব রেখে দিতে চায়
এর কারণ কী দূরে ঠেলে দেয় দায়!

কান শুনবে না, মন না বললে
চোখ দেখবে না, একা একা চলে
কান এবং চোখ মনের সহিত যুক্ত
শুধু মন জানে কি কি হয়ে যাবে মুক্ত।

কিছু থেকে গিয়ে, স্মৃতি হয়ে যায়
আজীবন থাকে মনের কোনায়
আমরা মানুষ, স্মৃতিতে ডুবতে চাই
সুখ স্মৃতি মনে এনে আনন্দ পাই।

না আছে বাঁধন, না আছে বারণ
এ দুটো মানে না দৃষ্টি, শ্রবণ
বাধা নিষেধের চাপ যদি দেওয়া হয়
বিপরীত ফল পেতে জেদ বেড়ে যায়।

দেখব এবং শুনতে থাকব
দুই কাজ দিয়ে জীবন ঢাকব
এই দুই কাজ প্রতিটি জীবনে ঢাকনা
দিয়ে দেয় হাসি, আবার কখনো কান্না।

সুবীর সেনগুপ্ত