//বিষাদ আসেই যদি, কোরোনা আদর//

করি নাকি উদ্বোধন বিষন্নতার
বিষাদের সেবা করে প্রসন্ন মন কার!
বিষন্ন হয়ে কেউ চায় নাকি থাকতে!
উচ্ছলতার মাঝে মানুষ চায় ডুবতে।

বিষাদ হয় না কোন স্বাদে ভরা খাদ্য
জড়িয়ে বিষাদ কেউ বাজায় না বাদ্য
যে আলোড়নে মন হয়ে যায় উদ্বুদ্ধ
করবই কেন তার উৎসের বিরুদ্ধ।

বিশেষ কারণ ধরে মানুষ বিষন্ন
ভাবতেই পারে সেই কারণ অনন্য
হয় সেটা অনন্য বা হবে সাধারন
যে বিষন্ন করবেও সেই মূল্যায়ন।

বিষাদ থেকে কী বিষন্নতার উৎপত্তি!
আগে বিষন্ন পরে বিষাদ কী সত্যি!
শোকের ঘটনা ঘটে গেলে হ‌ই শোকার্ত
জড়াই বিষাদে, মন হয় অবিন্যস্ত।

মন অসন্তুষ্ট কিংবা নয় প্রসন্ন
তখন বিষাদে ছেয়ে হই নাকি দৈন্য!
বিষাদে কে কী ভাবে পড়ে, জানতে চাইলে
মূর্খের‌ই কাজ সেটা হবে এই ভূতলে।

মনে হয় অসন্তোষ বিষাদ ডাকবে
তৃপ্তির আগমনে পরে চলে যাবে
না হয়ে বিষন্ন থাকলে আনন্দে
মন অভিভূত হয়ে জীবন ছন্দে।

বিষাদ জানেনা কিছু, কি দিন কি রাত্রি
কোনো মন খুঁজে নিতে হয়ে যায় যাত্রী
যখন আসে ডাক তখনই তো খুঁজে পায়
এই ডাক মানুষের, ভুল বলা হবে দায়।

এমন মানুষ আছে এই পৃথিবীতে
বিষাদ তাঁদের কাছে পারেনা আসতে
বিষাদ রাখতে দূরে হয়েছে সফল
জেনে নাও জেনে নাও, পাবে মনে বল।

ঢুকতে পারে না কেউ অন্যের মনে!
নিজে কি করব সব নিজ মন জানে
প্রবণতা থাকে যদি বিষন্ন থাকতে
বিষন্নতাকে ডেকে আনে মন অজান্তে।

বিষাদ আসেই যদি, কোরো না আদর
চলে যাবে না জানিয়ে, ছাড়বে সদর
সাধারণ এই কাজ করাই তো যায়
বিষাদ রাখতে দূরে এটাই উপায়।

সুবীর সেনগুপ্ত