//বিকশিত হোক মিথ্যে, সত্যি চাই কি!//

মিথ্যেকে দিলে প্রশ্রয়, যদি লাভ হয়
মানুষের মন সেই দিকে ঝুঁকে যায়।

মিথ্যে বলেই যদি হয়ে যায় উন্নতি
মিথ্যে বলতে তৎপর হবে এই মতি।

মিথ্যে বলল, পারলো না কেউ ধরতে
সাহস বাড়লো, ধরল মিথ্যে বুদ্ধিতে।

না বলে মিথ্যে, হয়ে গেলে যুধিষ্ঠির
গড়তে পারলে সব সত্যের এক শিবির।

সত্যকে সাথী করলেই সত্যবাদী
নইলে সমাজ জানবে মিথ্যেবাদী।

মিথ্যেবাদীর দুর্ভোগ নানা রকমের
ধাক্কা খাবেই, শুধু সময়ের হেরফের।

কখনো সত্য, কখনো মিথ্যা বলব
এরকম ভাবে চললে ভরসা খর্ব।

জানা যায় যদি, আমি মিথ্যেও বলি
সত্যের ঝুলি, হবে মিথ্যের ঝুলি।

সহজ সরল ভাবনা দিয়েই পদ্ধতি
তাতে বৃত্তের স্থান হলে হবে দুর্নীতি।

অনায়াসে যারা মিথ্যে বলতে পারে
সত্যের ভুঁয়ো পরিচয়ে চলতে পারে।

সত্য মিথ্যা জানবার কি উপায়!
কোন সূত্র কি এই কাজে হয় সহায়!

গড়ে তুললাম এক ক্ষুদ্র সংস্থা
থাকল না তাতে মানুষের কোন আস্থা।

করে দেব নাকি বন্ধ এই সংস্থা!
তাই করে দিলে দুর্দশার অবস্থা।

আর কি পন্থা! ভাবনা জড়িয়ে যায়
কারো উপদেশ ধরে মিথ্যের আশ্রয়।

ধীরে ধীরে এই সংস্থা রমরমে
আর এই পন্থা ক্ষীর হয়ে গেল জমে।

বিকশিত হোক মিথ্যে, সত্যি চাই কি!
বিকশিত হোক সত্য, চাইতে ক্ষতি কি!

লাভা ও ক্ষতির প্রতি মুহূর্তে খেলা
করতে কি পারি এই খেলা অবহেলা!

অর্থ নিয়েই নয় শুধু লাভ এবং ক্ষতি
স্বার্থের সাথে জুড়ে গড়ে তোলে এক রীতি।

স্বার্থ মানেই ধন এই ধারণাই ভুল
স্বার্থের মাঝে স্বস্তির ধারা অনুকূল।

কীসের পিছনে ছুটছি আমরা, জানি কি!
তা কি হতে পারে শান্তি স্বস্তি, মানে কি!

ধরা আসুক, আর আসতে থাকুক জীবনে
এ তো এক চাওয়া, থাকতেই পারে মননে।

মিথ্যে দিলেও বিধি-বিরুদ্ধ ধন
সেই ধনে নেই মানসিক আশ্বাসন।

কী ভাবে আসবে ধন সেটাই তো প্রশ্ন!
সত্য মিথ্যা এই বিতর্কে রত্ন।

কে কোন রত্ন নেবে তার নিজ নির্ণয়
মিথ্যে রত্ন অন্তিমে আনে পরাজয়।

সুবীর সেনগুপ্ত