দৃশ্যপট ১

কবিশ্বরের কল্পনায় একটা মেয়ে একটা ছেলেকে ভাবতে ভাবতে
নির্ঘুম কাটিয়ে দিচ্ছে  আস্ত একটা রাত।
ভোরে মেয়েটা নীলখামে অক্ষর পাঠালে, ছেলেটা পাঠাচ্ছে শব্দ
দুপুরে মেয়েটা শব্দ পাঠালে, ছেলেটা পাঠাচ্ছে বাক্য
বিকেলে মেয়েটা বাক্য পাঠালে, ছেলেটা পাঠাচ্ছে পঙক্তি-

এভাবেই অগণিত নিঝুমরাত আর শুক্লপ্রপাত যাপনের বিনিময়ে
মেয়েটা আপন করে নিচ্ছে ছেলেটার  কবিতা
            কবিতার পাণ্ডুলিপি
      এবং পান্ডুলিপি লেখার হাত

তারপর অকস্মাৎ  এক সন্ধ্যায়
মেয়েটা ভুলবশত ঝলসানো হৃদপিণ্ড পাঠালে, ছেলেটা পাঠাচ্ছে আস্ত একটা মৃতহৃদয়ের এপিক।

কবিশ্বর কল্পনা করছেন-
কবিশ্বর কাঁদছেন-


দৃশ্যপট ২.

'কোনোএক মধ্যরাতে কবিতার পান্ডুলিপি নিয়ে সমুদ্রেতটে দাঁড়িয়ে আছেন এক অখ্যাত কবি। তার হৃদপিণ্ডটা ঝলসানো,  চোখে আগুন...
অথচ মুখে-ঠোঁটে লেগে আছে একটুকরো অদ্ভুত বিস্বাদী হাসি-
    ক্রমশ সেই হাসি ঝংকার তুলতে তুলতে মিলিয়ে যাচ্ছে শূন্যে
    ক্রমশ সেই হাসি ঝংকার তুলতে তুলতে মিলিয়ে যাচ্ছে সমুদ্রে-

কবিশ্বর কল্পনা করছেন-
কবিশ্বর কাঁদছেন-
_________
(প্রলাপ)

২৯ মে ২০২১, দ্বিপ্রহর