একটি প্রজাপতি, ডানা ভাঙা, আকাশে উড়তে পারে না,
ক্ষতবিক্ষত দেহ, ক্ষত চোখে দেখে, কেউ বুঝতে পারে না।
সেই প্রজাপতির মতো, নারী আজ বন্দি,
ভয়ের খাঁচায়, কষ্টের অতলে, জীবন যেন অন্দি।
শৈশব হারিয়ে, কৈশোরে লাঞ্ছিত, যৌবনে অপমানিত,
নারীর শরীর, যেন এক যুদ্ধক্ষেত্র, রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত।
প্রতিটি স্পর্শে, যন্ত্রণার জ্বালা, প্রতিটি ক্ষতে, অপমানের গ্লানি,
“আমি বেঁচে আছি, কিন্তু জীবন্ত লাশ হয়ে”, এই আর্তনাদ, কারো কি শোনা যায়নি?
চোখের জলে ভেসে যায়, স্বপ্ন, আশা, ভালোবাসা,
বিশ্বাস, সম্মান, সবকিছু হারিয়ে, বেঁচে থাকা যেন এক অভিশাপ।
কখনো স্বামীর হাতে, কখনো প্রেমিকের লালসায়,
কখনো অচেনা মুখোশের আড়ালে, নারী শুধুই ভোগের পাত্র।
আইনের ফাঁক, সমাজের নীরবতা, ন্যায়বিচারের অভাব,
নারীর আর্তনাদ, হারিয়ে যায়, ক্ষমতার কাঠামোর গভীরে।
ক্ষত চোখে দেখে, ক্ষত মনে লুকিয়ে রাখে,
“আমি বেঁচে আছি, কিন্তু জীবন্ত লাশ হয়ে”, এই সত্যি, কেউ কি বুঝতে চায়?
তবুও প্রজাপতি, ডানা ঝাপটায়, আকাশ ছুঁতে চায়,
ক্ষত সারিয়ে, নতুন করে বাঁচতে চায়।
বিদ্রোহের আগুন জ্বলছে, নীরবতার দেয়াল ভেঙে,
নারী জেগে উঠছে, ন্যায়বিচারের আলো, আঁধার কেটে।
এই কবিতা, তাদের জন্য, যারা বেঁচে আছে, কিন্তু বেঁচে নেই,
যাদের ক্ষত, চোখে দেখা যায় না, যাদের আর্তনাদ, কেউ শুনতে পায় না।
এই কবিতা, তাদের জন্য, যারা লড়ছে, ন্যায়বিচারের আশায়,
যারা ভাঙছে নীরবতা, গড়ছে নতুন পৃথিবী, সত্যের আলোয়।