তপ্ত বালুর বুক চিরে ধেয়ে আসে রক্তের ধারা,
আকাশ জুড়ে ধোঁয়া ওঠে, আগুনের কারা।
শিশুর কান্না, মায়ের চিৎকার, রক্তাক্ত রাত,
বুলেটের শব্দে কেঁপে ওঠে পবিত্র মসজিদ আল-আকসার।

ইজরাইলি বর্বরতার তাপে পোড়ে গাজার গলি,
ছিন্নভিন্ন দেহ পড়ে, ধূলায় মিশে চলি।
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ছোট্ট শিশু,
তাদের প্রশ্ন— “আমার বাবা কোথায়? মা কেন নিঃশ্বাস নিচ্ছে না আর?”

বিধ্বস্ত ঘর, ছাই হয়ে যাওয়া বাগান,
তবুও থামেনি ফিলিস্তিনির আজান।
তারা জানে, শহীদ হওয়া মানে নয় হার,
বরং বেহেশতের দুয়ার খোলা অপার।

আল্লাহ, তুমি রক্ষা করো এই পবিত্র মাটি,
নবীদের স্মৃতি জড়িয়ে আছে যেথা রাতি।
আমরা নিরস্ত্র, তবুও হৃদয়ে ইমান,
তলোয়ারের চেয়ে শক্তিশালী শহীদের প্রাণ।

আমরা একা নই, আকাশ জানে, বাতাসও বোঝে,
ফিলিস্তিনের জন্য প্রতিটি হৃদয় আজ ফুঁসে।
আমাদের দু’আ, আমাদের ভালোবাসা,
একদিন ফিরবে জয়, কাটবে সব খাঁচা।

হে উম্মাহ, জাগো, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াও,
নীরবতা ভেঙে আওয়াজ তোলো, সাহস দেখাও।
আল্লাহর ঘর রক্ষা করবে তিনি, নিশ্চয়,
ফিলিস্তিন বাঁচবে, বাঁচবে মুসলিমের হৃদয়!

আল্লাহু আকবার! ফিলিস্তিন মুক্ত হোক!