অন্ধকারের চাদর, ঢাকে জীবনের আলো,
নরপিশাচের দেশে, নামে যেন কালরাত্রি কালো।
আট বছরের শিশু, স্বপ্ন দেখে ভোরের আলো,
তার আগেই ছিঁড়ে যায়, জীবনের সকল ভালো।
স্কুলশিক্ষকের লালসা, সমুদ্রের ধারে ধর্ষণ,
মুন্সিগঞ্জে বেলুনের লোভ, বৃদ্ধের জঘন্য স্পর্শন।
লক্ষ্মীপুরে আত্মহত্যা, বিচার না পেয়ে মরে,
কুমিল্লায় বাকপ্রতিবন্ধী, ধর্ষিত হয় ঘরে।
চট্টগ্রামে কলেজ ছাত্রী, সংঘবদ্ধ হয় শিকার,
এই দেশে নারী কাঁদে, নেই তো প্রতিকার।
আজ এক দিনে এগারোটা ধর্ষণ, শুনি কথা,
বিচার নেই, কান্না বৃথা, মরে মনুষ্যত্বতা।
লাল হাতের ছাপ, যেন রক্তের দাগ,
প্রতিটি নারী, যেন এক জীবন্ত আগ।
“আমি বেঁচে আছি, কিন্তু জীবন্ত লাশ হয়ে”, আর্তনাদ বাতাসে ভাসে,
বিদ্রোহের আগুন জ্বালো, ঘৃণা যেন গ্রাসে।
পুলিশের নিথর চোখ, যেন পাথরের দেয়াল,
বিচারকের কলম, যেন মিথ্যার জাল।
নেতাদের ভাষণ, যেন ফাঁকা বুলি শুধু,
এই দেশে ন্যায়বিচার, যেন এক মরীচিকা শুধু।
শিশুর কান্না, মায়ের হাহাকার, বোনের আর্তনাদ,
এই দেশে প্রতিধ্বনি তোলে, শুধু বিষাদ।
প্রতিটি ধর্ষিতা, যেন এক জীবন্ত শহীদ,
তাদের রক্তে লেখা, এই অভিশপ্ত ঈদ।
তবুও আশা বাঁচে, ভাঙবে এই অন্ধকার,
জাগবে নারী, জাগবে পুরুষ, হবে প্রতিকার।
নতুন সূর্য উঠবে, ভাঙবে মিথ্যার জাল,
ন্যায়বিচারের আলোয়, দূর হবে সকল কাল।