জীর্ণ চীরে, ছিন্ন চিরা
আলুথালু বুকখানি,
বিদ্যুৎবেগে দৃষ্টি ভেঁড়ে
দেহে আসে ঝলকানি।
শিরশির করে সারা দেহ-মন
বাহিত রক্তধারা।
শিশ্ন সুঠাম, আনচান মন,
কামনাতে দিশেহারা।
উত্তপ্ত শ্বাস, দারুণ বিলাস,
রঙ্গিন স্বপ্নডোরে,
ছিড়িয়া গিয়াছে সব বাঁধা যেন-
শরীর জয়ের তরে।
ইঙ্গিত করে, আহবান ছোঁড়ে,
ধরা দাও নিবিড়ে,
উন্নত শিশ্ন অবনত করো,
টেনে নাও গভীরে।
নিস্তব্ধ করো দেহের অগ্নি –
ঘুমঘুম হাতছানি।
অবশ শরীরে লেপ্টে যাবো
নারীর উপরে আমি।
লজ্জায় নারী শয্যাতে ওঠে –
হাজার চেষ্টা করে;
শতছিন্ন চীর দিয়ে নারী
বৃথাই লজ্জা ঢাকে।
প্রতিরোধ আসে অন্তর থেকে,
অশ্রুধারা ঝরে।
সাদা চোখে তাকে যায়নাতো দেখা
শিশ্ন শরীর চেরে।
খোদার কাছে ফরিয়াদ করে,
দোয়া মাঙ্গে বারেবারে,
অসহায় আমি; সন্তান ঘরে
মরিতেছে অনাহারে।
(কাব্যগ্রন্থঃ কৃষ্ণ ছায়ায় আবৃত আপাদমস্তক, অন্বেষা প্রকাশন, প্রকাশকাল – ২০০৮)