রাজপথের একটি তাজা ফুলকে বাঁচাবো বলে
সহস্র মানুষের মিছিল রোধ করে দাড়ালাম,
বলেছিলাম 'ভাইয়েরা একটু সামলে চলো না
একটু বাঁচতে দাও আর কত প্রাণ পায়ে পিষবে?'
মিছিলের সবাই মুখ চাওয়াচাওয়ি করলো
তারা ফিসফিসিয়ে নিজেদের মাঝে কি যেন বললো,
কিছুক্ষণ কদাকার দৃষ্টিতে চেয়ে থেকে বললো;
বাধা দিতে এসেছিস শুয়ারের বাচ্চা কোথাকার?
এই সদ্য বিংশে পা ফেলা যুবক বিদ্রোহী হয়ে
উন্মাদের মতো বলেছিলো, 'হ্যাঁ এজন্য ই এসেছি!"
পুরো মিছিলের ভীরে আবারো শ্মশান নিরবতা
অতঃপর তারা আমার মৃত্যুর পরোয়ানা দিলো!
সহস্র মানুষের আঘাত বেশিক্ষণ সহ্য করতে
পারলো না আমার বিংশয়শী দেহখানি।
চাঙ্গা প্রাণ ঝরে গিয়েছিলো তাদের বর্বরতায়
আমি বাঁচাতে পারলাম না একটি তাজা ফুল কে!
চশমার ভাঙা কাচের ফাঁকে শেষ বারের মতো
দেখেছিলাম কিভাবে তরতাজা প্রাণ কেড়ে নিয়ে
নৃশংস দানব গুলো দাঁত কেলিয়ে হাসছিলো
আর তাদের জঘন্য উল্লাসের শ্লোগান দিচ্ছিলো।
মুখে রক্তের নোনতা স্বাদ নিয়ে অস্পষ্ট নয়নে
শেষ বারের মতো দেখেছিলাম বর্বর সভ্যতা
কিভাবে বিষাক্ত ধোঁয়ায় ভরিয়ে দিয়েছিলো পুরো
আকাশ, শেষ বারের মতো চাঁদটা দেখা হয়নি!
এখন আমি নরকে বসে সেই সব সভ্যতার
বর্বর দানব দের নিয়ে বিদ্রোহ কবিতা লিখছি,
অভিশাপ দিচ্ছি বর্বরতার নোংরা সভ্যতাকে
ঐ সভ্যতাকে খুবলে খাক কুকুর আর শকুনে!