গত জন্মে আমি মানুষ হয়ে জন্মেছিলাম
ভেবেছিলাম স্বার্থক বুঝি আমার এই জনম।
আমার ভুল ভেঙে যায় যখন আমার স্বজাতি
নিজের স্বর্থের জন্য আমায় গলা টিপে মারলো।
তাই ঈশ্বরের কাছে মিনতি করে বলেছিলাম;
"আমি এবার পাখিই হবো স্বাধীন হয়ে উড়বো"।
গত জন্মে দেখেছিলাম ওরা বড্ড স্বাধীন, কিন্তু
বন্দুকের আবিষ্কারের ব্যাপার টা জানা ছিলো না।
আমি এবার পাখি হয়ে ভীষণ আনন্দে উড়ছি
নীলাকাশের নদী, সবুজ পাহারের চূড়ায়,
আমার মন যেখানে চাচ্ছে আমি সেখানেই যাচ্ছি
আজ আমার বাধা নেই আমি আজ চির স্বাধীন।
একদিন হৃদপিন্ড টা ঝাকুনি দিয়ে থমকে গেলো
টের পেলাম আমার হৃদপিন্ডে একটা ধাতব বস্তু!
নীলাকাশের নদীর বুক থেকে নিচে তাকালাম
দেখলাম একজন একটা যন্ত্র নিয়ে তাকিয়ে আছে।
এই বুঝি বন্দুক? ছোট্ট যন্ত্রটার ছোবলে আজ
আমার ছোট্ট দেহ টা থেকে ঝরছে রক্ত অঝোরে!
আমার রক্তে সবুজ কাঁঠালের পল্লব রক্তিম
বর্ণ ধারণ করেছে, এবং আমি হারিয়ে যাচ্ছি!
হে মহাবিশ্ব তোমরাই আজ বলে দাও কি হবো?
কি হয়ে জন্মালে আমি চির স্বাধীনতার স্বাদ পাবো?
মহাবিশ্বের প্রতিটা ধুলি কণার কাছে আমার
প্রশ্ন রইলো তোমরা আমার প্রশ্নের জবাব দিও!