আমার একটি লুকিয়ে রাখা তাজা গোলাপ ছিলো
সে গোলাপ টি হয়তো ডাস্টবিনে পচে গিয়েছে
আরো কয়েক যুগ আগে। আমার হৃদয়ে জন্মানো
সে গোলাপ আমি কাকে দিয়েছি তা জানতে চেয়ো না।
আমার একটি রঙিন সপ্ন ছিলো কাউকে ঘিরে
আমার সপ্ন বহুদিন হলো ভেসে গেছে নির্ঘুম
বহু রাতের অজস্র ফোটা অশ্রু জলের প্লাবনে,
অশ্রুভেজা সে সপ্ন কাকে ঘিরে তা জানতে চেয়ো না।
ষোল বছরের কিশোরের মতো প্রেম ছিলো, একটা
আকাশ ছিলো যার পানে উৎসুক শিশুর মতো
বিহ্বল দৃষ্টিতে চেয়ে থাকতাম। আমার হৃদয়ে
একটা মন্দির ছিলো, সে মন্দিরের একজন দেবী।
আমি প্রতিদিন-ই নিয়ম করে অশ্রু বিসর্জন
দিতাম আমার মন্দিরের শুদ্ধ দেবীর চরণে।
রোজ রোজ কবিতা ও গানের প্রসাদ চড়াতাম
বিনিময়ে কেবল ক্ষানিক ভালোবাসা চাইতাম।
আমার আকাশ টা ছিলো মহাকালের মতো
সে পানে চেয়ে চেয়ে ফুরাতো না সময়ের কোষাগার!
আকাশের নীলিমা একদিন দেবীর কাজলের
চেয়েও কালো বর্ণ ধারন করলো, ভীষণ আঁধার।
আমিতো সে আকাশটায় পুরো মহাকাল জুড়ে
শুধু ভালোবাসা খুঁজেছি! হৃদয়ের মন্দিরটায়
একদিন দেখলাম এক বিশাল তালা ঝুলছে,
আমিতো সে একান্ত দেবী কে ছাড়া কিচ্ছু চাইনি!
কোন সেই ভুল দেবীর অর্চনা করে আজ আমি
মহাশূন্যের অতলে ডুবে হাহাকার করে ক্লান্ত
হাত জোড়া দিয়ে বিষন্ন কবিতা গুলো লিখি আর
ভাঙা কন্ঠে বিরহ সুর টান দিই জানতে চেয়ো না।
একদিন তো আমিও ছিলাম ভীষণ উৎসাহী
তবে এখন কেন জানি না সব কিছু মিশে গেছে
কাকের পালকের মতো অন্ধকারে, ষোড়শ বয়সী
কিশোর টা কেন নিস্তেজ হয়ে গেলো জানতে চেয়ো না।