আজ রাতে আমি একটি কবিতা লিখতে পারি। আজ রাতে আমি একটি কবিতা লিখতে নাও পারি। কেননা মনিষা হোটেল সিগালে পৌছে গেছে অনিমেষ কিংবা অবিনাশের সঙ্গে অথবা পৌঁছে গেছে সনাতনের সঙ্গে আজ রাত ১২ টা ৪০-এর দিকে। ওখানে হবে অর্ধনগ্ন সমুদ্র স্নান হবে বারবি কিউ নাইট আর যা যা হবার হবে সব কিছুই। এসব মনিষার ব্যক্তিগত ব্যাপার -সে যাকে খুশি  তাকে নিয়ে যাক যেখানে খুশি, ইচ্ছে হলে কেউ মনিষাকে নিয়ে যাক পৃথিবীর নির্জনতম দ্বীপে! আমার তাতে কি এসে যায়! আমার কথা ভেবে কি সে বিসর্জন দেবে তার সোনালি যৌবন! তাই কি হয়!  আমিও কি এতটাই বোকাচোদা যে এইটুকু শারিরীক তেজস্ক্রিয়তা থেকে গেছে আমার বোধগম্যতার বাইরে!এ সম্পর্কে বিস্তারিত বলার কিছু নেই।এসব আজকাল কিংবা বহুযুগ ধরেই স্বাভাবিক এবং প্রাকৃতিক ঘটনাপ্রবাহ যা ঘটবেই – চলেছে ঘটেই।আমার কি ঈর্ষা হচ্ছে খুব? অদ্ভুত হলো আমার মোটই ঈর্ষা হচ্ছে না।হচ্ছেন না এ জন্য যে কারণ আমি জানি মনিষার কাছে আমি অপশনাল বিষয়।তবে মনিষার মুল বা মেজর সাবজেক্ট যে কে- অনিমেষ অবিনাশ ইন্দ্রজিৎ সুভাষ নাকি অন্য কেউ – এ কথা সম্ভবত জানেনা কেউ ।অগত্যা সকলেই ভেবে নেয়- আমিই মেজর! আসলে কে যে মেজর সেটা মনিষাই ভালো জানে কিংবা হয়তো মনিষাও জানে না। দেখা গেলো আগত কেউ একজন মনিষার হাত ধরে সুর সুর করে এফ 20 বিমানে করে নিয়ে গেলো ক্যালিফোর্নিয়ার তুষার ঝরা জৌলুশে।আর তখন সকলে থাকবে হা করে তাকিয়ে। তবে এর মধ্যে অবশ্য যার যতটুকু প্রয়োজন পুষিয়ে নিতে ভুল করবে না নিশ্চিত। তাদেরই বা দোষ কি! স্বয়ং মনিষাই যদি রাবার ম্যানেজ করে রাখে তবে শেয়াল কি গুটিয়ে রাখবে লেজ নাকি দৌড়াবে ঘোড়ার মতো হোক না  টাট্টু কিংবা রেসের ঘোড়া!  ঘোড়া তো ঘোড়াই – হর্স পাওয়ার- চাট্টিখানি কথা নয়।অবশ্য হর্স পাওয়ারের চাইতেও ক্যালিফোর্নিয়ার হট ডগ মনিষার কাছে অধিক আকর্ষনীয় কারণ ইতোমধ্যে ঘোড়ার মিনিমাম কোর্স তার কমপ্লিট হয়ে গেছে।হবারই কথা! আপাতত ক্যালিফোর্নিয়া প্রসঙ্গ বাদ।মনিষার সাথে আমার নেই কোনোরূপ লেনদেন।সে জাস্ট আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড।ফ্রেন্ড?হা  হা হা।মজার একটি শব্দ।ফ্রেন্ড বোলে কিছু আছে নাকি? ফিল্ম উপন্যাস কবিতায় থাকতে পারে তবে ফেসবুকে তো প্রশ্নই আসেনা কারণ ফেসবুক হলো ফেইক বুক যার ফেস আছে বুক নেই, বুক আছে ফেস নেই।তো মনিষার সঙ্গে কিছুদিন ঘন ঘোর চ্যাট হলো।আমি মনিষাকে ক্যালিফোর্নিয়া কিংবা দেখাইনি স্বপ্ন চাঁদের দেশের।  বলেছি – মাটি ও মানুষের কথা নিসর্গবতী মিহিন গন্ধের কথা।এসব বোধ হয় ওর পোষায় নি। কিছুদিন পর ব্যস্ততা দেখানো শুরু হয়ে গেলো।  আমি যা বুঝবার বুঝে গেলাম।পাখি খাঁচায় ঢুকার আগেই উড়ে গেছে।এলিয়ট লন্ডনকে বলেছিলেন-  আনরিয়েল সিটি। মেয়েরা আসলে চায় আনরিয়েল প্রেম কৃত্রিম কিংবা লৌকিক ভালোবাসা। পারিবারিকভাবে ঠিক করা একজনের হাত ধরে মনিষা একদিন দিনের অন্ধকারে সত্যি সত্যিই চলে গেলো ঠিক ক্যালিফোর্নিয়াতেই। বাস্তবে এমনকি অতিবাস্তবে ঘটনাগুলি এরকমই হয়।মনিষা যখন ব্যস্ততা দেখাচ্ছিল কিংবা করছিলো ভাণ, তা ছিল নিতান্তই বানানো ব্যস্ততা! এই লকডাউনে ফেসবুকে ছেনালগিরি ছাড়া আর কোনো কাজই করতে হয়নি তার। এইসব আমি বুঝি। বুঝেও করি না বুঝার ভাণ।করেছি -কারন , আমি খুব ভালভাবেই টের পাচ্ছিলাম মনিষা লন্ডনের মতই আনরিয়েল সিটি!
প্রিয় এবং অপ্রিয় মনিষা, বাংলার মাটির সোঁদা গন্ধের চেয়ে তুমি কিংবা তোমার ক্যালিফোর্নিয়া কখনোই এতটা বিশুদ্ধ নয় যতটা বিশুদ্ধ শিশুর ঠোঁটে মাতৃদুগ্ধের ছোঁয়া!