প্রতিটি মানুষের হৃদয়েই স্ল্যাং বসবাস করে।
যেমন উর্মির বাবা আশেপাশের ১ লাখ লোকের চেয়ে ভালো মানুষ।ভদ্রলোক  বোলতে যা বোঝায় উনি তাই।কথাবার্তা  চালচলন নোশন ফাংশন সবকিছুই চমৎকার। একদিন সে পাগল হয়ে গেলো- একেবারে বদ্ধ উন্মাদ।স্বাভাবিকভাবেই
তার সবকিছুই বদলে গেলো। জামা কাপড়ের ঠিক থাকে না।কথাবার্তা তো যাচ্ছেতাই
প্রচন্ড গালিগালাজ করে কারণে অকারণে
বিশেষ করে চ ” বর্ণ” র গালিতে সে যেনো
পিএইচ ডি।উর্মি অবাক হয়- এটা কি করে সম্ভব!তার বাবাকে সে কোনোদিন সর্বনিম্ন স্ল্যাং “বাল” শব্দটিও বলতে শুনে নি।অথচ আজ সে
হেন গালি নেই যা দিচ্ছে না।তবে কি তার
মনের গভীরে এই গালিগুলি ছিলো বিরাজমান, সুপ্ত!কিন্তু সে সামাজিক কারণে অবদমন
করে রাখতো! তবে কি উর্মি পাগল হয়ে গেলে
সেও গালি দিবে – ” অই তোর মায়রে আমি,….
“ছি ছি পাগল হওয়া তবে তো বড়ই বেইজ্জতির ব্যাপার।… এই কথাগুলি বলার কারণ আছে।পৃথিবীর সকল ভাষার সাহিত্যে স্ল্যাং আছে। এই স্ল্যাং যে-সকল লেখক ব্যবহার  করেন সমকালে তাদের অনেক হ্যাপা পোহাতে হয় যেমন হাংরি জেনারেশন বিট জেনারেশন যেমন হেনরি মিলার ইত্যাদি।পরবর্তী কালে এরাই সবচে বেশি সমাদৃত হন।এটাই সাহিত্যের ইতিহাস।মাঝে মধ্যে আমারও খুব স্ল্যাং ব্যবহার  করতে ইচ্ছে করে কিন্তু
মুশকিল হল আমার আইডিতে এড আছেন
আমার ছাত্রছাত্রী কলিগ আত্মীয় স্বজন এবং
কিছু সুধীজন যারা আমার স্ল্যাং ব্যবহার মেনে নেবেন না কিছুতেই।হয়তো ব্লক মেরে দেবেন কিংবা খুব খারাপ ভাববেন।এমন হওয়াটাও অস্বাভাবিক নয় যে আমার কিছু কুকুর কলিগ আছেন, তারা অধ্যক্ষ মহোদয়ের কাছে নালিশ করে বোলবেন: যুবক সাহেব ( যদিও আমাকে তাদের স্যার বলা উচিৎ  যেহেতু তারা আমার
মোস্ট জুনিয়র কিন্ত বেয়াদপ বলেই সাহেব বোলবে)ছেলেমেয়েদের  নষ্ট করে দিচ্ছে ফেসবুকে কবিতা না কি যেনো বলে ওসব ছাইপাশ লিখে।স্যার, এক কাজ করেন একটা শোকজ মেরে হালুয়া টাইট করে দেন।এ তো গেলো কলেজের কথা।অধিকন্তু যেসব প্রাতিষ্ঠানিক  গোষ্ঠিবাজ কবি  আমার সাথে এড আছে তারাও এর বিরোধিতা করবে।এসব ক্লাসিক মার্গীয় লেখা তাদের পক্ষে হজম করা সম্ভব নয় যেহেতু তারা আসলে কোনো কবিই নয়।বইমেলায় সাধারণ  মানুষ বা পাঠক বাঁশ নিয়ে ঢুকতে পারে না  – এটাই রাষ্ট্রীয় নিয়ম।যদি বাঁশ নেয়া যেতো আমি বাঁশ নিয়ে ঢুকে গোষ্ঠীবাজ অকবিগুলিকে কুত্তার মতো পিটাতাম যেহেতু এরা সাহিত্যকে রেইপ করেছে,করে চলেছে অনবরত  -এ কথা বলাতেও আমাকে অই গোষ্ঠীবাজরা এরেস্ট করিয়ে দিতে পারে- ঝুঁকি এক প্রকারের রয়েই যায় কিন্তু এসব (অ)কবিকে  আমার বিলাই মনে হয়।এরা যে কেনো কবিতা লিখে সেটাই আমার  বোধগম্য নয়।এদের কথা নিয়ে সময় নষ্ট করাও সমীচিন নয়।বোলছিলাম সাহিত্যে স্ল্যাং এর কথা।এর উদাহরণ  হতে পারে এরকম; “একটি মেয়ে তার শরীর  বিক্রি করে সংসার চালায়।”- এটা খুব সাধারন একটি বাক্য, যদি এই বাক্যটিকে কাব্যিক ভাবে সৌকর্য সম্পন্ন করতে চাই তাহলে “মেয়ে” শব্দের স্থলে বেশ্যা পতিতা গণিকা খানকি মাগী  ইত্যাদি  বলতে হবে।আর বোল্লেই সাথে সাথে সর্বমহল থেকেই  রিয়েক্ট হবে: ছি ছি আপনি একজন শিক্ষক এরকম বাজে আর অশ্লীল লেখা লিখলে স্টুডেন্টস আপনার কাছে কী শিখবে আপনিই বলেন!তখন আমার জবাব দেবার কোনো ভাষা থাকবে না যেহেতু এসব লোকের পক্ষে জাঁ জেনে র‍্যাঁবো  মিলার গিন্সবার্গ বোঝা কখনও সম্ভব নয়।বোল্লেও উনারা বলে বসবেন : আপনি কি নিজেকে গিন্সবার্গ মনে করেন! তখন কি আর বলার কিছু থাকবে! কোথায় মহাকবি গিন্সবার্গ আর কোথায় এক অতি সাধারণ  যুবক অনার্য!  সুতরাং স্ল্যাং ব্যবহারের কোনও সুযোগ রইলো না অথচ মহাভারত রামায়ন গ্রীক মিথালজি আরব্য রজনী জুড়েই রয়েছে অদ্ভূত আর মহাবিচিত্র স্ল্যাং।এসব স্ল্যাংকে আবার ধর্মাচার হিসেবেও পালন করা হয়,তখন দোষের কিছু নয় শুধু আমি দুই একটা কথ্য শব্দ ব্যবহার করলেই সকলেই তেড়ে আসবে।কিন্তু যে যাই মনে করুক আর কুকুরগুলি আমার চাকুরী খেয়ে দিক, আমি যে স্ল্যাং ব্যবহার  করবোই।এদেশের করুণ অবস্থা দেখে আর মনের বিষ মজাতে কবিতায় লিখবোই: খানকি মাগী….  এরকম যা খুশি তাই,তাতে কার বাপের কী আসে যায়,কারণ অইসব বাপরা
আমি জানি সুযোগ মতো নিজের ঘরের বউকেই গালি দিয়ে বলে: যা এক্ষুনি বাপের বাড়ি
চলে যা,মাগী কোথাকার!