মৃত্যুর সমান বয়সে এসে আজ
অভিমান নিয়ে নয়,অভিজ্ঞ নাবিকের মতো মাস্তুলতাড়িত হয়ে মনে হয়-
আর কিছু জানিনা তো, শুধু জানি এই-
সমস্ত নদীর জল শুকিয়ে চর হলে
আমি খুঁজবো না কোনোদিন তাকে।
সমস্ত ভালোবাসা ঘৃণা হলে
আমি বলবো না তাকে- এবার শরীরে
হৃদয় মেখে বর্ষাতুর ভিজে রোদ্দুর
হবো নাকো আমি।
অচেনা মানুষের মতো চেনা শোক ভালোবেসে
কিশোরীর স্বল্পদৈর্ঘ্য যৌনতা
চেয়েছি হতে কতবার!
জানি না আজ সায়ন্তিকা সোমত্ত হল কিনা
নিজেকে জড়িয়ে রেখে নিজের ভেতর।
সবকিছু জানা হলে তবু তারপর
মানুষেরা মূর্খ থেকে যেতে পারে
আমিও আজানুলম্বিত মূর্খ বটে
না জেনে নিজেরই মরণ, না বুঝে সাধন ভজন।
তবে আজ বড়ো মনে পড়ে-
কী এক শালিকদুপুর-
তুমি যেন বা পদ্মপুকুর-
স্নানের নূপুর আর গুটিয়ে লাজুক পরত
ম্লান হয়েছিলে;
আমি এক ইচ্ছেসুলভ যেন বা
বেগানা বালক, দু’চোখ সরিয়ে রেখেছি
অই দূরে-আহা।,
‘আহা’ময় শব্দচয়ন বুঝি শুধু জীবন বাবুরই
পৈত্রিক স্বর!
তাই এ শব্দ অনুচ্চারিত থেকে আজ
কাব্য করা সমীচীন হোক।
উচ্চারিত তবে আজ হোক-
সমস্ত নদীর জল শুকিয়ে চর হলে
তুমি শরীরে হৃদয় মেখে বর্ষারঙা রোদ্দুরে
খুঁজবে আমায় তবু
খুঁজে খুঁজে পাবে নাকো মোরে।