সারারাত আমার সদ্য বিবাহিত শরীর থইথই জ্বরে বিস্তৃত ধুয়ে গেলে
তুমি শর্তহীন শুশ্রূষা দিও
পারবে কি সেরকম বধু হতে তুমি!
যদি কৃষ্ণচূড়াকে ফুল ভেবে ভুল মনে হয়
তুমি শুধরে দিও,বোলো- কৃষ্ণচূড়াও ফুল,
ভালোবেসে অমর হবার মতন, এ কোনো ভুল নয়
নাগরিক নির্জনতা কাঁধে নিয়ে ফিরে আসি
যেনো আমি সন্ধ্যার পরাজিত কোলাহল
এক গোছা সোনালি রূপালি চুড়ি
অথবা নিদেনপক্ষে এক জোড়া দুল
বয়ে আনবার তুচ্ছ মুরোদ যদি থাকলো না
সংরক্ষিত চুমু ছেপে পাপবোধ মুছে দেবে
আলতো আয়োজনে
তুমি ঠিক তেমন রমণী নও!
এক চিলতে উঠোনে তির তির করে বেড়ে উঠবে না সহাস্য করুণ শৈশব
আমার ক্ষমাহীন অক্ষমতায়
বিরল শূন্যতা বুকে নিয়ে তুমি
জ্বলে উঠবে শাশ্বত মৌলিক শোকে
তবু তুমি পৃথিবীর আশ্চর্যতম বধু
আমাকে অভিনন্দিত করার শিল্পোত্তীর্ণ অভিলাষে
উচ্চারণ ভাঙবে ঠিক এইভাবে-
অমৃতের শ্রেষ্ঠতম পুরুষ তুমি আমার
তুমি খুব এরকম বধু হয়ে উঠবে তো!