কৃষ্ণচুড়ার কাছে প্রত্যাখ্যাত এই হাত
খন্ডিত মানচিত্রের উপশিরা ছুঁয়ে দ্বিখন্ডিত মুখ
শস্যক্ষেত্রের মধ্য দিয়ে একদা খুঁজেছিলো
বর্ণাঢ্য আলোড়ন বিজন মিছিল।
স্বপ্নদ্রষ্টারা তবু মেনে নিতে ভয় পায়– স্বপ্নেরও তীর ধরে হেঁটে যায়
পরাজিত পাথরের মেঘ রাজ্যচ্যুত রাজাদের জ্যেষ্ঠ রক্ষিতার বিদগ্ধ উল্লাস।
এর চেয়ে বরং দুঃস্বপ্নের বালিয়াড়ি রেখে যেতে পারে কিছু সহজ ভাঙন।
দরোজার কাছে এসে ফিরে যাওয়া প্রেম পাস্তুরিত তরল দুধের মতো
জলের সঙ্গে মিশে থাকা কারচুপি–তাস যেন এক নিষিদ্ধ গোপন চিঠি
লুকোনো খামের ভাঁজে ট্রেনের হুইসেল হয়ে বেজে ওঠে।
আর কতকাল বলো এইভাবে অজানা কাহিনী হয়ে
নষ্ট জরায়ুর যোনিপথে বুনে দেবো নির্লজ্জ কবিতার
ঠোঁটকাটা ভ্রুণ। আর কতকাল শুধু এইভাবে বিলুপ্ত গ্রহের মতো
কক্ষপথ ভেঙে দিয়ে শ্মশানে জ্বালিয়ে রাখবো বিশ্বাসে বিষের বকুল।
চিতার আগুন পুড়ে বলে যাবো– মৃত্যুকে বরণ করে
মরণ অস্বীকার করবার অশেষ সংকল্প ঘোষণার মধ্য দিয়ে
প্রতিটি কবিই একজন শহিদ– পাঁজরে প’রে নিয়ে পুষ্পের ক্ষত।