যদি এই নিস্তব্ধতা ভুল থেকে বেড়ে ওঠা
এই ঐশ্বর্য মেনে নিয়ে
ধ্বংসস্তুপের উপর থেকে যেতে হয়,
তবু আমি কবিতার চৌহদ্দি
পেরিয়ে যেতে চাই।
কীভাবে যে রাত নামে, দিন এসে
চলে যায়- এসব না হয় আমার কাছে মূল্যহীন থেকে গেলো।-
অসংখ্যবার শুধু মনে হয়-
মৃত্তিকার মলিন কাগজ শূন্য পড়ে আছে।
সুন্দর আর কুৎসিতের মায়াবী হরিণ
স’য়ে নিচ্ছে অরণ্যের পুরনো রোদ। জানালার বাইরে এক চিলতে যে আকাশ, দ্বিতীয় নক্ষত্র কোনো সেখানে
রেখে যায় নি ভাঙনের ছাপ,
বাঁশবাগানে এখন আর গীতলতা নেই চাঁদটাও কীরকম সরু হয়ে গেছে ।
শব্দের কুহক বাজিয়ে
কিংবা গায়ের জোরে কি কখনও
কবি হওয়া যায়!
বিবর্ণ ছবির মতো চাঁদ ওঠে, তার পাশে আলোছায়া মেঘ।-  এসব দৃশ্যকল্প
খুব সেকেলে।
আত্মতৃপ্তিতে তুমি এতো কেনো তইথই !
জংধরা খোপার ভাঁজে যদি পারো
পরিয়ে দিও নতুন কোনো ফুল আর
তা না হলে অন্তত আশায় বাঁধো বুক- অকস্মাৎ দু’একটা হাত কিছুটা তো
হেঁটে যায়- এ হাত অস্বীকার করার মধ্যে কোনো কবিত্ব নেই।
পাহাড় অরণ্য নদী কেটে কেটে
সত্যিকারের দূরত্ব ছুঁয়ে যেতে হবে।
এখন সেই মৃত্যুর কথা বলি যে আমাদের সবচেয়ে নিকটতম প্রতিবেশী।
যাই- যাচ্ছি করেও পাথরের মতো রাত্রিগুলো দিব্যি টিকে গেলাম।
বিবর্ণ ছবির মতন
আকাশে আধভাঙা চাঁদ,
তবু বেঁচে থাকলে আমি
কবিতার করুণার কাছে গুটিসুটি
আজীবন বসে থাকতে চাই;
দিনরাত্রির হিসেব আমার কাছে না হয় মূল্যহীন থেকে গেলো।
অসংখ্যবার শুধু মনে হয়-
মৃত্তিকার মলিন কাগজ শূন্য পড়ে আছে।
____________________