একদিন আগুন জ্বালিয়ে যাবো চলে
যেখানে যায়নি কেউ কোনোকালে
সারা গাঁয় ছড়ানো কথামালা
প্রাতিষ্ঠানিক গন্ধ লুকিয়ে এখানে কতো কেউ উৎকর্ণ
হেঁটে চলে,লুকোচুরি গোল্লাছুট চলে অগোচরে
এ তল্লাটে তল্পিতল্পাসহ কারা এসে জুড়েছে উড়ো হয়ে – পরিযায়ী পাখিদের মতো।
রহস্যদঘাটনকারী পৃথিবীতে আজ এই যে
মিথ্যে বাস্পে সাজানো মেঘ, বর্ষীয়সী রূপবতী সামন্তবাদী ট্রেনের হুইসেল
জোছনার করতলে তুমুল অন্ধকারে
ফুটে আছে এই যে বেদনামালা,পূরবী স্যানাল ৫ বাই ৭ ক্ষরণের ঘুপচি পাড়া – অপেক্ষায় কাটানো প্রহর
নির্ঘুম পাটাতন
তবে কি আসবে না ভোর!
না, এখানে ভোর নেই নিদ্রা নেই
রুদ্ধদ্বার- লিখে রাখা নিষেধাজ্ঞা -দেয়াল
কারাগার ঝুলে থাকা হুলিয়ার
করিডোরে এখানে আর ভেড়ায় না নোঙর আহত রৌদ্রের ডানা
এখানে নেই পিপিলিকা- সামান্য আহারসন্ধানী শ্রমশীল ঘাম নিয়ে তার,
কেবলি সংখ্যাগুরুবাদ, সাঁড়াশি হঠকারী – রাজার সংগে রাজার গল্পাচার
আর নাশতার টেবিলে রূপবতীগণ।
ভালোবেসে আমি বেদনার নাম দিয়েছি- লুকোনো দেরাজ
ভালোবাসা আমাকে দিয়েছে নাম – ঢেউয়ের সর্বনাশ – মোহনার বাঁকে।
একদিন আগুন জ্বালিয়ে যাবো চলে- জুড়েছে উড়ো হয়ে যারা- তাহাদের গোল্লছুট লুকোচুরি ভেঙে দিয়ে নীরবে হারাবো- যেখানে হারায়নি কেউ কোনো কালে।