একদা আমাদেরও  ভালো থাকবার বয়স ছিলো
আমরা এই যারা যারা ছিলাম
ভালো থাকবার বয়সে- আকাশে উড়িয়ে ঘুড়ি,           দেখেছিলো -স্বপ্ন স্বাধীনতার,বাকাট্টা ঘুড়ির মতো
একদা এইতো সেদিনের কথাই যদি বলি-
ভালো থাকবার বয়সে আমরা মুন্সিবাড়ির
বড়ই গাছটা যেখানে ঘরের ভেতর টিনের চালা ভেদ করে উপরে গিয়েছিলো উঠে
যার ডালে ধরে থাকতো বড়ই একই সংগে কুল
ও গোল রকমের
ঢিল মেরে সেই গাছে বড়ই চুরির কসরতে গিয়েছি        কতো বেলা -বাড়ি ফিরে দুপুরে খাবারের কথা ভুলে।
আমরা এই যারা এ দেশে বৈশাখ এলে
পাড়া জুড়ে, জুড়ে দিতাম বৈশাখি মেলা আর রাতভর সাংস্কৃতিক নাচে আর গানে
ছিলো -কী যে উৎসব কী যে উল্লাস
সেইসব নাচগান ঘিরে!
এসবের মধ্য দিয়েই ছিলে এক বিকেলের তুমি
ভালো থাকবার বয়সে এসব সবকিছু থেকে যায়
দংশন করে সুদূর ভবিষ্যৎ তুমুল বদলে দিবে বোলে
দংশন করে আচমকা একদিন কোনোদিন
সবকিছু শেষ হয়ে গেছে - ঘুম ভেঙে দেখবো বোলে
দেখবো -তরুণ  শেখ ইশতিয়াক- সে,
কোথায় যেনো গেছে চলে
দেখবো-এক বিকেলের তুমি"উড়ো খই গোবিন্দায় নমঃ"বোলে একদিন সাতসকালে গেছো চলে
একদিন ভালো থাকবার বয়সে আমরা জেনেছিলাম        কেউ একজন যার কিনা যেতে হবে বহুদূর  হেঁটে              ঘুমিয়ে উঠবার প্রাক্কালে
জেনে,আমরাও গিয়েছি বহুদূর হেঁটে
হেঁটে হেঁটে তবু পারি নি দুদন্ড  ঘুমিয়ে বিশ্রাম নিতে
এ রাষ্ট্র দেয় নি ঘুমোতে
বরং ঝুলিয়ে রেখেছে দেশদ্রোহিতার ট্যাগিং                 আমাদের কাঁধে--

ভালো থাকবার বয়সে এসব  দেখতে হয়
হয় যে দেখতেই - স্মৃতি আর বিস্মৃতির দরোজা জানালা খুলে- আসলে ভালো থাকবার বয়সে আমাদের -
আমরা ছিলাম না মোটেই হয়তো বা ভালো!