এখানে কোনো স্টেশন নেই,শুধু ট্রেন আসছে
আর যাচ্ছে কোথাও চলে।
দূরে হয়তো অনন্তকাল দূরে একটি স্টেশন
রয়ে গেছে যেখানে একমাত্র অপেক্ষমান
যাত্রীর নাম ঈশ্বর যার বস্তুত অপেক্ষার কোনো দায় বা তাড়া কোনোটাই নেই।
সেই ঈশ্বর নিয়ে প্রাগৈতিহাসিক কাল ধরেই কতোইনা শুনে এসেছি গল্পকথা শাস্ত্রকথা পুরাণকথা।-- সেসব অন্য বিষয়।
এখানে যেখানে স্টেশন নেই
তবু দেখতে পাওয়া গেলো একটি পুরুষ
ও অপর এক নারী।
এই দু'জন নির্জন অন্ধকারে একসংগে ঘুমোলেই পৃথিবী মানুষে মানুষে ভ'রে যাবে।
স্বাভাবিক প্রবণতাবশত ওরা শুতে চাইছে
কিন্তু মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে একটি হায়েনা!
জীবন অনিশ্চিত হবার সম্ভাবনা সুতরাং
থেকেই গেলো- তাহলে আপাতত বাঁচা,
তারপর শোয়া।
এই পৃথিবী মানুষে মানুষে ভ'রে গেলে
হায়েনার কী এমন ক্ষতি- বোঝা মুশকিল!
তবে হায়েনাটি অনন্তকাল দূরের স্টেশনের মতোই ওদের শুতে যাওয়াকে আটকে রেখে দেবে অনন্তকাল-- অবস্থাদৃষ্টে এ কথা
বুঝে নিতে কষ্ট হলে তা লেখা রয়ে যাবে বেদনাপ্রধান অধ্যাদেশে।
এবং তাই, এই ঐতিহাসিক সংগমকার্যটি পরিচালিত হতে হলে একজন সাহায্যকারী
ঈশ্বর প্রয়োজন যিনি থাকেন অনন্তকাল দূরে।
নারী ও পুরুষ অনন্তকাল দূরের স্টেশনে অপেক্ষমান যে-ঈশ্বর তার জন্য অপেক্ষা করছেন।
তিনি চাইলেই কেবল মুক্তি সম্ভব
হায়েনার থাবা থেকে।
দূরবর্তী ঈশ্বরের অনিশ্চিত আগমন, নারী ও পুরুষ এবং হায়েনা-- এই দৃশ্যপট কল্পনা ক'রে
হায়েনার সহজ সংজ্ঞা হতে পারে--' হায়েনা
নিজে সংগম ক'রে থাকলেও অন্যকে
তা করতে দিতে সে কখনোই রাজি নয়!
আমরা একটি অনিশ্চিত সংগমের অপেক্ষায়
রয়ে গেলাম যেহেতু ঈশ্বর সংক্রান্ত বিষয়টি
আমরা এখনও নিশ্চিত নই!