হয়তো তোমরা দেখবেনা কীভাবে আমি আমার অপরাধীদের বিচার করবো?
হয়তো তোমরা জানো না আমার সংবিধানে আটচল্লিশ আছে,পঞ্চাশ আছে,উনপঞ্চাশতম অনুচ্ছেদ নেই?
তোমরা দেখোনি,তোমরা জানো না.......
শেষ শৈশবে আমাকে একজন খুন করতে চেয়েছিলো,
আমার স্হির রক্তকে অস্হির করে দিয়েছিলো,
আমার খরাক্লিষ্ট ঠোঁটকে সয়লাব করে দিয়েছিল চুমোচ্ছ্বাসে,
মুহূর্তে সে আমাকে শৈশব থেকে কৈশোর বানিয়েছিল।
তারপর.......
তারপর আমাকে না জানিয়েই সে আমাকে খুন করতে চেয়েছিল।
তোমরা জানো?আমি জানতেও পারিনি সে আমাকে খুন করতে চেয়েছিল!
যখন জানতে পাই,দাউদাউ করে উঠি;
হাতে তুলে নিই সশস্ত্র কলম,উদগীরণ করতেছি কাব্যলাভা;
তার ঠিকানায় পাঠিয়ে দিবো মৃত্যুর পরোয়ানা।
পরোয়ানা পড়েই সে মারা যাবে,
সে তো জানবে না আমার কলমে-আঙ্গুলে লুকিয়ে আছে বিষ,
তাকে নিয়ে রচিত দু কুড়ি বিষাক্ত কব্যে তার মরণ হবে!
মৃত্যুর আগে সে সাশ্রুকন্ঠে ক্ষমা চাইবে,
আমি বলবো;ক্ষমা নেই!
কৈশোরে আমাক দ্বিতীয়বার খুন করতে চেয়েছিলো,
সে আমার মাংসে তুলেছিল মাংসের তুফান,
মুহূর্তে পরিণত করেছিল কৈশোর থেকে যুবকে,
সে আমাকে ঘোষণা দিয়ে খুন করতে চেয়েছিল,আমি দ্বিতীয়বার বেঁচে যাই।
শপথ কবিতার,আমি আমার দ্বিতীয় খুনির বিচার করবো।আমি তো বিচারকদের মধ্যে সবচাইতে নির্মম-নিষ্ঠুর-নির্দয়-নিরাবেগ-নিরাসক্ত!
আমি তো নিরঙ্কুশ বিচারক,
আমার রায় অখন্ড-অলঙ্ঘ,
আমার উপরে কোনো রাষ্ট্রপতি নেই।
নেউল ক্ষমা করতে পারে অহিকে,অহি নেউলকে;
আদম ক্ষমা করতে পারে ইবলিসকে,ইবলিস আদমকে;
দুরাত্না খুনিকে ক্ষমা করতে পারে রাষ্ট্রপতিরুপী ম্যাগনি ফিসেন্ট সাইফার;
কবি কাউকে ক্ষমা করে না,
কবিতা কাউকে ক্ষমা করে না!
ক্ষমা চাই?ক্ষমা চাই?
ক্ষমা নেই,ক্ষমা নয়!
একটিমাত্র ক্ষমায় হাজারো অপরাধের জন্ম হয়।
তাং/১০/১০/২০১৭