যুক্তির চেয়েও বড়ো প্রতিপক্ষ একজন আছে ছায়া শরীর,
ছায়া, থাপ্পড় দিলে থাপ্পড় দেয়, লাথি দিলে লাথি, কিল-
ঘুষি দিলে কিলঘুষি; অথচ কী আশ্চর্য অনুভূতির লহরী;
সেই ছায়াকে মানুষ নিজেই খুন করছে; চৌরাস্তার মোড়ে
মোড়ে গেরো, ডাইনে-বামে, পশ্চাতে-সম্মুখে সবখানে-!

আমার জুতোর সুখতলিটা ক্ষয়ে গেছে সে অনেকদিন হয়,
জুতোটা মেরামতের দাবি করতেই পারে মানবিক চেতনা;
আমি জানি কলঙ্ক ধামাচাপা দেওয়া যায়, ছায়াকে ঢেকে
রাখা যায় না!
অবরোহী হই
অথবা
আরোহী হই---- কোনো লাভ নেই!
সে ফিরে আসে, বারবার ফিরে ফিরে আসে!

তাবৎ পৃথিবীর কেউ তাকে আটকে রাখতে পারে না!
আমি বলতে চাই, যুক্তির শরীর থেকে হয়ত মুক্তি পাওয়া
যায়, কেবল ছায়া থেকে মুক্তি নেই; আমি যেই হই ভণ্ড,
সাধু, গুণ্ডা, লুচ্চা, বদমাইশ—কারো মুক্তি নেই--- নেই!!