শুনেছি, একটি শিশুর জন্য কত অপেক্ষা-
নারী-পুরুষের আনন্দিক মিলন;
দীর্ঘ দশ মাস মায়ের যন্ত্রনা সহ্য--তারপর
এই আমার জন্ম।
আণ্টাসনোগ্রামের প্রচলন থাকলে
স্বজনদের অপেক্ষার ভিড় জমতো না!
সামাজিক গুনে গুনি না হলেও -
ফল তাই লালন করা ।
দায়িত্ব বা অবহেলায় হোক স্কুলের বারান্দায়
মা, ছুটির অপেক্ষায়।
এভাবে যৌবন জাল কখন মেলে ধরল-জানি না;
নিজে কতটুকু সুন্দর ছিলাম
আজ তা বলতে পারি না!
সকলে যেমন নিজেকে প্রধান চরিত্র ভাবে
আমি তার ব্যতীক্রম ছিলাম না।
গ্রাজুয়েশন শেষ,
তবুও পিতা-মাতার চিস্তার মুক্তি
দিতে পারলাম কই?
পৃথিবীর এত অপেক্ষার মাংসল দেহ
পিতা- মাতার বোঝা!
সামাজিক মর্যাদা রক্ষায়
আজও পুরুষের দলিল কৃত
বোঝা হতে পারলাম না।
জানি না, আর কত কাল
বোঝা হয়ে থাকব?
তোমরা তো জান আজ কি হবে?
আমাকে জন্ম না দিলেই পার॥