নিস্তব্ধ দাঁড়িয়ে মলিন মুখে চেয়ে দেখি জল প্রবাহের স্রোত।
ঘন কালো আকাশ আমায় করে দিয়েছে গৌণ;
স্নিগ্ধ বাতাসে গতর শীতল মন করে উত্তপ্ত!
দ্যুলোক পানে চেয়ে থাকি কখন বন্ধ হবে এই বাদল ধারা।
পুরো আকাশ স্তব্ধ শুধু আসে মেঘ গর্জনের শব্দ
মনে হয় আমিই একান্ত পথিক নগরীর কোনে দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করি।
গোধূলির লগ্ন পেরিয়ে যাচ্ছে নাই কোনো ফুরসৎ :
চারিদিকে শোনা যাচ্ছে কিছু গাড়ির শব্দ
বৃষ্টি কিছুটা ঈষৎ মিলছে লোকালয় সভা
আমিও উঁকি মেরেছি এবার একটু বেশি আওয়াজ
ধীরে ধীরে বের হতে লাগলাম গুরি গুরি বৃষ্টি গায় পড়তে লাগলো।
আমি আর পিছু গেলাম না ভালোই লাগছে হাঁটছি
এক রিকশাওয়ালা ঠেকে আমাকে বলে স্যার যাবেন
রিকশায় না উঠে সোজা হাটতে লাগলাম,,আর বললাম যাবো না।
হেঁটে হেঁটে নিজের গন্তব্যে পোঁছাবো, বলার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ!
পুরো শরীর ভিজে গেল, মাথা থেকে ছাতার কলে পানি পড়ছে।
দেখতে অনেকটা দূর চলে গেলাম এবার একটু বেশি জোরে পড়ছে
আর হাঁটা যাবে না গাড়িতে উঠতে হবে,,ভাবতে না ভাবতে একটা লে গুনা চলে আসলো।
কিছু না বলে উঠে গেলাম
ভাড়া দিন একটু ওয়েট করো,,মাত্রই তো উঠলাম
চুপচাপ বসে রইলাম আর দেখলাম কিছু সুবিধা বঞ্চিত মানুষ।
তপ্ত দুপুরে করে যেমন আহা কার,তেমনি করছে এই বৃষ্টিতে
এবার দিলাম ভাড়া চলে এসেছি গন্তব্যে
নিজ পায়ে হেটে যাচ্ছি গুরি গুরি বৃষ্টিতে!
পিছনে তাকিয়ে দেখি পাঞ্জাবি নাই আর চকচকে
ছিল সাদা মাখিয়ে দিল এই জড় হাওয়া।
বর্ষার দিনে মন থাকে উরু উরু ভাব
দিনমজুরী চিন্তা করে কাজে বড়ো অভাব :
অর্থ হীনতায় ভোগে রত বল থাকতে
বিজ্ঞ লোকেরা তাদের থেকে চোখ ফেলে উল্টে
সাহায্যে র হাত বা রায় প্রতিবার থাকেনা আর অভাব।