হাসি ভরা মুখ নিয়ে কত গান গাই রমজানের
কবে আসবে মাহে রমজান রোজা রাখার সময়
শবেবরাত পালন করে দিন গুনতে থাকি খুশির আমেজে মেতে উঠে সারা বাড়ি।
তবে সেই আনন্দ বেশি ক্ষন থাকে না
অভাবের ঘরে জন্ম হয়ে ছিনিয়ে নেয় আবেগ
রাতের সেহরি বুকে অনেক আশা নিয়ে খেতে হয়!
আগামী দিন হয়তো বা মনের আনন্দে স্বাচ্ছন্দ্য কিছু হতে পারে।
তাই ভেবে সারাদিন রোজা থাকা তেমন একটা কষ্ট হয়নি।
কারণ এটা আমার অধিকাংশ বেলায় সঙ্গী হয়ে থাকে
মসজিদে ইফতার করে বাড়িতে ফিরে মাকে দেখি ভাত খেয়ে ইফতার করে
অথচ রাস্তায় দেখা হলে অনেক আত্মীয় স্বজন রা মৃদু স্বরে বলে কেমন আছো?
কিন্তু কেউ গরীবের ঘরে তো দূরের কথা পাশে আশার প্রয়োজন বলে মনে করে না।
আমি কেমন আছি এতো টুকুন তাদের কাছে যথেষ্ট!
দিন মজুর বাবা আমার মাথায় অনেক চিন্তা নিয়ে কাজে বের হয়।
যে টাকা আয় হয় তা দিয়ে আমাদের সংসার ঠিকমতো চলে না।
সারা বছর কাজ করেও ঈদের সময় দিতে পারে না নতুন জামা
মা পড়ে পুরনো শাড়ি বাবাও একই উপাধি ব্যবহার করে
আমার গায়ে স্কুল ড্রেস, ছোট ভাইয়ের হয়তো একটা শার্ট কপালে জুটতো!
ঈদ গাহে যাবার পথে বন্ধুদের সাথে দেখা হয়
সবার গায়ে নতুন পোশাক
আমাকে দেখে বলে ও তো বোকা
ঈদের দিন নতুন পোষাক পড়তে হয়
তুই স্কুল ড্রেস পড়লি কেন?
গালি দিয়ে বলে যা... জামা পাল্টা গিয়ে?
ওরা বলে আমার বাড়িতে চল নাস্তা করবি
আমার মা অনেক কিছু রান্না করেছে।
তাদের বাড়ি আমি গেলেও আমি কিছু বলি নাই
ঘরে এসে মায়ের কাছে খাবার খেতে চাইলে
লক্ষি বাবা খেয়ে নেও পান্তা ভাত আছে ঘরে?
পাশের ঘরে দাওয়াত আছে বলছেন গতকাল
মায়ের বুকে চাপা কষ্ট বাবা হলেন বিধ্বস্ত
মুখ খুলে মা বলেন এ ভাবে আর কতকাল থাকবো
আমাদের জীবনে কি আর কোনোদিন উন্নতি হবে না
আজকে একটা উৎসবের দিন কোনো কিছু করতে পারলাম না
রোজা ঈদের আগে আমার ছেলেরা কত লাফালাফি করছে
নতুন জামা নতুন প্যান্ট আরো কত কিছু
পুরনো যত পোশাক ছাড়েনি ওর পিছু
অভাব লেগে আছে এই সংসারে।
মুক্ত কর হে খোদা আমাদেরকে
শান্তি দেও এই ছোট্ট ঘরে।
নিজ বাড়ি