অন্ধকার নিস্তব্ধ রজনী ক্লান্ত শরীর নেতিয়ে পরে নরম কোমল বিছানায়। অবচেতন মন চৈতন্য হারায় ধরনী তলে তার আমোঘ নিয়মে..
অবরুদ্ধ নেত্র কপাট হঠাৎ ঝঙ্কার দিয়ে খুলে যায়.. অনন্য দেবোলোকে হঠাৎ আবিষ্কার করি তোমার পদ ধ্বনী, তোমার অবয়ব। শিউরে উঠে আমার গোপন আত্মা। আমার সর্বস্ব...
ক্ষীণ আলোর আস্তরণে এক আশ্চর্য স্বর্গ সুখ ছড়িয়ে দিয়ে কোথায় যেন বার বার হারিয়ে যাও তুমি। কেন এমন করে আস? কেন এমন করে ভালোবাস?
তোমার নির্ভেজাল দৃষ্টি, স্মিত হাসি, সাবলীল কণ্ঠস্বর মন্ত্র মুগ্ধের মতো টেনে নিয়ে যায় আমায় অজানা গন্তব্যে, আমি তল হতে আরো অতলে হারাই... আমার ভিতর বাহির আমার অনন্ত আত্মা দিয়ে তোমার স্তুতি গাই, আমি কেবলই তোমাকে চাই...আমি তোমারই লাগি নিজেকে হারাই...
আমি এক অজানা সুখে বার বার করি অবগাহন।
হেই আমার গোপন মনের প্রেম, আমার স্বপ্ন, আমার নীলাকাশ, অনন্তকাল এভাবেই আচ্ছন্ন হয়ে থেকো তোমার নীলাভ আভায়... তোমার ভৈরবী সুরে আমায় করো প্রাণোচ্ছল।
আমি কল্প মনে কবিতার মতো হতে চাই তোমার নীলাঞ্জনা।