পাশের বাড়ির রমজানের মায়
দিন আনে দিন খায়,
কাজ করে ইটের ভাটায়
চলে দিন মজুরী যা পায়।
সারাদিন কাজ করে চলে হাড়খাটুনী
রাত হলে খায় বেকার স্বামীর পেদানী,
এত কষ্ট করেও হৃদয় থাকে ভার
মন অনলে পোড়ে পোড়ে হয় ছারখার।
মন চাই চিরতরে ছুটে যাবে দুচোখ যেদিকে যায়
শিশু রমজানের দিকে তাকাতেই মন করে হায় হায়।
তবুও মনে সংশয়
স্বামী নিয়ে পায় ভয়।
প্র্রতিদিন খায় নুন ভাতে পানি দিয়ে পান্তা
হাড়খাটুনী পরিশ্র্রমে ভাল নেই তার জানটা
দূর্বিসহ জীবন এভাবেই চলে দিন রাত
ক্লান্ত অবষণ্ণ দেহ এলিয়ে দেয় ঘুম কাত।
সকাল হলে আবারও ছুটে যায় ইটের ভাটায় কাজেতে
মনে মনে ভাবে সে জীবনটা আছে তার জেল হাজতে।
বেকার স্বামী তার ডুবে থাকে বিষাক্ত মদে প্রতিদিন
এভাবেই সংসারের ঘানি টেনে টেনে হয় নিত্য ঋণ।
প্রিয় কবি মূলচাঁদ মাহাতের "মে দিবসের" কাব্য পাঠ করতে গিয়ে এই কবিতাটির ভাবনা মনের অজান্তে উঁকি দিয়ে যায়। আর সেই ভাবনা থেকেই কবিতাটির সৃষ্টি। তাই কবির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এই কবিতাটি আজ মহান মে দিবসে সকল শ্রমজীবি মহিলাদের জন্য উৎসর্গ করলাম। যারা জীবনে শুধু দিয়েই যায় প্রতিদানে কোন কিছু না পায়..