এই তো সেদিন

প্রিয় মুহূর্তের কিছু রেশ মনের কোল ঘেষে
গড়িয়ে পড়ছিল আহ্লাদে।

আবেগী মন সুর তুলে গুন গুনিয়ে
       মৌবনে মাতামাতি।

পড়ন্ত বিকেল পশ্চিমাকাশে সূর্যটা বিদায় নিয়ে
চলে গেল আগামী দিনের প্রত্যাশায়।

আমিও সেদিনের মতো প্রিয় কিছু সুখানুভূতি মোড়িয়ে
ক্ষণ বিদায় নিয়ে যন্ত্রদানবটার কাঁধে ঝুলে পরি।

    অতঃপর গন্তব্যের নেশায় ছুটছি
     রাস্তা ক্রসিং এর আকাঙ্খায়..

সন্ধ্যার ক্ষীণ আলো তখনো প্রকৃতির তাজা
আলো ম্লান করতে পারেনি।

রাস্তা পার হতে গিয়েই তৎক্ষনাৎ উপলদ্ধি,
কতটা সেকেন্ডের ব্যবধানে; প্রাণ পাখি উড়ে যায়
ছেড়ে দেহ নামক ঐ মুখোশটাকে???

তখনো হৃদপিণ্ডে ঘন কম্পন,
ঢক ঢক আওয়াজ তোলে মনে।

আমি নিস্তব্ধ বাক রুদ্ধ,
বিস্ময়ী ভাবনায় বিচলিত..

সি এন জি চালিত গাড়িটি গাণ বেগে
ছুটে গেল পিছন পথে।

চলন্ত পথে কোন এক দৈব শক্তি যেন
একটানে পৌঁছে দিল অপর প্রান্তে।

রাস্তার পাশে দাড়িয়ে থাকা কণ্ঠ
চিরে নামে আর্ত চিৎকার।

হয়তো ভেবেছিল ওটাই ছিল
আমার শেষ পরিণতি।

যদি তাই হতো আজ পৃথিবীর ভূ-গর্ভে রচিত হত
   আমার সমাধি।


বাস্তব অনুভূতির প্রকাশ কবিতায় সেদিন আমার জীবনে ঘটতে পারতো..
কিন্তু একজন আমার পাশে ছিল সেই গোপন শক্তি যে একটানে পৌঁছে
দিল আমায় রাস্তার অপর প্রান্তে। কৃতজ্ঞ চিত্তে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি
কেবলই তাঁকে। আমার প্রিয়তম যীশুকে।