আজ যখন ফোর বি পেন্সিলে
      তোমার মুখাবয়ব
      স্কেচ করছিলাম
তোমার চোখে নির্লিপ্ততা দেখেছি,

     দেখেছি সবুজ সতেজ প্রাণান্ত স্বপ্নগুলো
         কেমন যেন মুখ থুবড়ে
         পরে আছে যেখানে সেখানে।
  উপুড় করে ফেলে
  রাখা ময়লার স্তূপে।

তোমার আঁখি যুগল কেমন অসজল;
ম্লান আলোক রশ্মির তীক্ষ্ণতা
        কেবলই নির্বিকার।

তোমার নির্মিলন নয়ন পাতায় ভর করেছে
             অন্তহীন নিশি ঘুম..

         তুমি কি সেই?

যার দীপ্ত আভায় উদ্ভাসিত হতাম
      একান্ত সঙ্গোপনে..

    যার প্রচ্ছদে এঁকে যেতাম
        সুদূরে দন্ডায়মান বরফের পর্বত।
        কিংবা আছরে পড়া উন্মাদী ঝর্ণা!

আজ অন্তহীন গহীন অরণ্য চোখে
দেখছি তোমার নীরব পদ বিস্তার।

তোমার চঞ্চল হরিণ আঁখি জুড়ে
কেবলই বিষণ্ণতা অবহেলা..

          যদি প্রশ্ন করি???

      উত্তর কি মিলবে কখনো
         তুমি তো নির্বিকার..

  তোমার ওষ্ঠ কপাট তালা বদ্ধ
         তুমি তো কেবলই ছবি
         গত হয়েছ কতটা বছর..

      বুকের পাঁজরে আগলে
   রেখেছি তোমার রেখে যাওয়া
     কয়েক টুকরো সুখ স্মৃতি।


প্রিয় কবিগন যারাই এই কবিতাটি পড়েছেন তারাই হয়তো ভেবে নিয়েছেন আমি আমার প্রিয়তমের মৃত্যু শোক থেকেই কবিতাটি লিখছি আসলে তা নয়। আমার জীবনে প্রিয় মা বাবা থেকে শুরু করে মোট ১১ জন প্রিয় আত্মীয় স্বজনদেরকে হারিয়েছি। আর এই কবিতাটি যখন লিখছিলাম কল্প মনে অনেক বিরহীনি মানুষের স্মৃতি যেন আমাকে  আকড়ে ধরেছিল। সেই ভাবনা থেকেই কবিতাটি রচনা। ধন্যবাদ।