মনের গভীরে মায়া জাগিয়ে
হাত পেতে বসেছিল এক মধ্যবয়স্ক নারী,
মুখে নেই ভাষা; আকার ইঙ্গিতে সুধায়
ভবঘুরে আমি নেই মোর কেউ
যদি পার দাও খাবার কিংবা শাড়ি।
পরনে ছিল বর্জিত রঙে রাঙায়িত
স্বল্প বস্ত্রে সজ্জিত অঙ্গ।
মায়া মমতায় জর্জরিত হয়ে বস্ত্র হাতে
দিচ্ছিল সেই নারীকে সঙ্গ।
সুজোগ বুঝে সেই নারী
ঝুপ বুঝে মারে কোপ।
মমতাময়ী রমনীকে দুর্বল ভেবে
মুহূর্তে বদলে গেল তার রূপ।
বড় মায়াবিনী কাল নাগিনী
ফুস ফুসিয়ে উঠে,
অনাহারী মুখ, ক্লান্ত যে চোখ
অবশেষ খই ফুটল তার ঠুটে।
অস্ত্র হাতে তেড়ে এল নাগিনী
ছোবল মারল বলে..
মমতাময়ী রমনী এবার হতচকিয়ে উঠে,
তারই অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে ধরেছিল তার গলে।
অবশেষে...
উপায় না পেয়ে নাগিনী এবার
করুণ কন্ঠে বলে,
মাফ করে দিও অলক্ষীটিকে
এখনই যাচ্ছি চলে।
মমতাময়ী রমনী এবার বলে উঠে
যা হবার হয়ে গেছে,
আর কখনও করো না তুমি এমন কার্যতা।
মর্মে মর্মে ভুগবে তুমি পাবে না মর্যাদা।
অতি ছোট জীবন তোমার,
কার্য কর ভাল আর হও সৎ
মানব জীবন স্বার্থক হবে
লোকে করবে মহব্বৎ।
নাগিনী এবার নিজের মনে শপথ করে বলে
অতি সরল, অতি মহৎ মানবী তুমি
দাও যদি অভয়, এই অভাগিনীকে
একবার তব চরণ চুমি।
আর নয় এমন করেছি পণ
ছুড়ে দিলাম ভিক্ষার ঝুলি
সাথে মায়াবি রূপ বোলি।