হাসপাতালের করিডোরে
তিব্র ব্যথায় ছটফট করছে রতন,
সাপ্তাহ যাবৎ পরে আছে সেথায়
নেই কোন পরিবর্তন।
স্কুলের পথে ছুটতে গিয়ে গাড়ীর চাকা
উঠে গিয়েছিল তার পা'য়,
দরিদ্র আর অবহেলীত বলে
পরে আছে সে হাসপাতালের বারান্দায়।
মায়ের চোখে অশ্রু সদাই
একমাত্র আদরের ধন,
সুস্থ্যতার জন্য যত টাকা লাগুক
করবে খরচ এটাই তার পণ।
কিন্তু কি নিষ্টুর নিয়তি সেথায়
টাকা যেমন তেমনি পোশাকেও চাই,
নইলে অবহেলায় অযত্নে
সব পরে থাক ঠাঁই।
অবশেষে অতিক্রান্ত সাপ্তাহ শেষে
একজন ডাক্তার এল সু বেশে,
এত দেরি হল কেন বলুন তো..
বলল ডেকে রতনের মাকে।
প্রশ্ন করে ডাক্তার নিজের আড়ালে
নিজেকেই ঢাকে।
রতনের মা বলল এবার
দরিদ্র আমি
বড় অবহেলীত
কাউকে করতে পারিনি তৃপ্ত।
ছেলে আমার মৃত্যু সজ্জায়
কাউকেই পাইনি পাশে তার
যা ঘটল সব জেনেও
এমন প্রশ্ন
এল কি করে ডাক্তারের মজ্জায়?
সব ভেবে ডাক্তার বলে
রতনের পা'য়ে ধরেছে পচন
যত তারাতাড়ি সম্ভব
করতে হবে তার পা কর্তন।
মায়ের চোখ কপালে উঠে
যেন আকাশ ভেঙ্গে পরে'
নিরব মনে সবার সামনে
ডাক্তার চুপি চুপি সরে পরে।
দুঃখিনী মায়ের এমন কথায়
হৃদয় হয় ছারখার ;
জীবনে তার এমন বিপদ;
কেন আসে বার বার?
মাঘের শীত সইতে না পেরে
স্বামী তার হয়েছে গত
হে বিধাতা বলে দাও আমায়
ক্ষত বিক্ষত হৃদয়ে এমন বেদনা
সইব আর কত?