ছেলেবেলায়..
বই খুলে পড়তে বসে
ইচ্ছে পুতুল খেলি,
কথায় কথায় আড়ি নিত
শিউলি বকুল বেলী।
ওরাই আমার প্রিয় বন্ধু
ওরাই প্রাণ সখি
খুনসুটিতে বাদ সাধলেই
অমনি বকাবকি।
ওদের ছাড়া দিন কাটে না
কেমনে করে রই?
মনে পড়ে কত্তো খেয়েছি..
চিড়ে ভাজা খই।
আজও ওরা স্মৃতির পাতায়
বেঁধেছে সুখের বাসা,
কত স্মৃতি মুছে ফেলেছি
ওদেরটাই শুধু ঠাঁসা।
বকুল ছিল পুতুলের শ্বশুর
আমার বেয়াই মশায়,
রাগ হলে ভেঙ্গে দিত
ভাবতাম যেন কসাই।
বেলী ছিল বকুলের বোন
বেশ হিংসে কুটি,
স্কুল ফাঁকিতে সেরা সে যে
নিত কেবল ছুটি।
ক্ষুধা পেলেই শিউলী শুধু
খেতো চিনি রুটি,
লাল ফিতায় চুল বাঁধত
একটাই মাত্র ঝুটি।
শিউলি ছিল শান্ত শিষ্ট
বেশ কোমল মতি,
সবার সাথে মিশতো ভালো
করত না কারো ক্ষতি।
রতন ছিল পাশের বাড়ির
অতি প্রিয় দোস্ত,
হাস মুরগী খাসি মহিশ
খাইত গরুর মাংস
আরও ছিল লিটন লিখন
জুই জবা ও মালতী,
কেউ নাকি হয়েছে দেবদাস
কেউ নাকি পার্বতী।
আজও ওদের ভুলতে পারি না
লিখতে বসে ভাবি,
ওদের নিয়ে কাব্য লিখি
হোক না এটাই হবি।
কবিতাটি আরো একটু পরিবর্তন ও বৃদ্ধি করা হল।