বাজছে আজ সানাইটা , বাজছে তখন থেকে ।
কতবার ডেকে গেল রমা, জয়দা? জয়দা?
শুনিনি আবার সারাও দেই নি ।
কি হবে তাতে ভাসমান কলসটা অথই জলে ঠাই কি পাবে ?
আজ যদি খুজি এই রচনার প্রেক্ষাপট,
আমি শুধু পাব চেনা সরগম ।
যা তিন তারে আবদ্ধ থেকেও সাত সুরে বাজিয়েছি ।
ধ্যন্যবাদ দেব তাকে যাকে উচ্চারণ করিনি কোনদিন ।
ভবিষ্যৎ খোজার রাস্তায় পাথেয় ছিল সে ।
বাজছে সানাইটা , বাজছে তখন থেকে ।
সেদিনের পর তোকে ফিরতে বলেছিলাম ।
মোহনা তখনই হল দুইমুখধারী নদীর ।
একজন বলছে পালটাবে, অন্যজন হটাৎ আঁকড়ে ধরল আমায় ।
আমি তো বলিনি পালাব, তবু চলে এলাম ।
কতজনের উপেক্ষায় নিজেকে একা করব বলে ।
কিন্তু অবহেলা করলাম, কেউ হাতটা একবার ধরতে চেয়েছিল ।
সানাইটা আবার বাজছে ঠিক যখন থেকে
আমি লিখতে শুরু করলাম ।
আমি নিজেকে খুজিনি কখনো, আমি দেখিনি কখনো,
আমি ভাবিনি কখনো, তাই বলিনি কখনো ।
আমি চলে যেতে যেতে ফিরে এসেছি, তবু যাইনি কখনো ।
যদি থাকে কাদা, সেতো লাগবেই ।
তবু নামিনি কাদায় কখনো ।
আমি শুনিনি কখনো , সানাইটা কেন বাজছে ।
জানি না ঠিক কখন থেকে ।
রাত কেটে ভোর হয়ে এল
এল অজানা পাখির ডাক
সময়টা যতই বয়ে চলে ততই এগচ্ছি আমি ।
অন্তরের বিরক্তি বাইরে প্রকাশে মানা ।
কিন্তু আজ আর বিরক্তি নেই বরং অভ্যাস হয়ে গেছে ।
আমি যে শুনছি এখনও সানাইটা বাজছে সেই কখন থেকে ।
ফিরে আসবে না সে আমাকে বলে গেল ।
লোকে বলে সানাই দুখে বাজে আবার আনন্দেও
লোকে বলে বলে মানছি না
আমি বলি সুর বার্তা আনে না ,
বার্তাকে সুরে উপস্থাপন করতে হয় ।
তাই সানাই বাজছে, সে নাইও বাজছে
বাজছে তখন থেকে ।
বাজছে সানাইটা, ঠিক কখন থেকে ,
মাঠ পেরিয়ে বটগাছ ।
গাছের নিচে একটি ছায়া
ভীরটা ঠেলে এগিয়ে গেলাম,
ভাবলাম সাহস দেখাব এবার ।
সাহস নিয়ে বলেও দিলাম।
শান্ত মনে বলল ওই দেখ জয়দা
ওটা কি যেন বাজছে ? সেই তখন থেকে শুনছি।
ছোট একটি ক্ষমা , ছোট একটি কথা
ঘটাল সমস্ত যন্ত্রণার অবসান ।
আমি কান পেতে শুনলাম,
কোথায় বাজছে? কি বাজছে ? সবই তো শান্ত !
হটাৎ মা ডেকে বলল বাবু তুই কাঁদছিলি কেন ?
আমি দূর থেকে শুনছি
তোর কান্নাটা শুনতে ঠিক সানাইএর মত ।
তবে সানাই কি আমার কান্নার প্রেক্ষাপট ?