কত আর ভাল লাগে, ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা পাউরুটি ?
ফিকে হতে হতে স্বাধীনতাও একসময় একঘেঁয়েমী হয়ে যায়
কিছুটা বন্দী জীবন, আলাদা অণুশাসন, সবারই মন চায়
আমি বলে ফেলি, হয়ত কেউ তা গরলে ডুবায় !
তোমাকে দেখতে গিয়ে পৃথিবীর অনেক কিছুই হয়নি দেখা
সাধ ও সাধ্যের মাঝে তুলে দিয়েছ বিভেদের বিশাল প্রাচীর
আত্মার খাঁচা থেকে আত্মজকে তুলে এনে ছেড়ে দিয়েছ মাঠে
এখন সে হাঁটে, আমার পায়ে দেখে দুর্লঙ্ঘ্য বাঁধার জিঞ্জির !
তোমার মুখ দেখতে দেখতে চোখে ছানি পড়ে গেছে ।
এক ডোবায় ডুব সাঁতার, এক জঙ্গলে হামাগুড়ি
এক শয্যায় রেতপাত, এক টিলায় রোজ চড়ে বসে থাকা
প্রতিদিন হলুদ ছোঁপের এক গুইয়ের অহোরাত্র বাহাদুরী ।
অকপট সত্য বল, তোমারও কি লাগছে ভাল, এই বন্দী জীবন ?
সাদা সুতীব্র সোল্লাসে কেমন জ্বলে উঠতে তুমি ফসফরাসের আলো
বিদ্যুতায়িত ইলেক্ট্রোরডের ছোঁয়া যদি কখনো ছুঁয়ে যেত কোন পাতে
জানি, নিজ হাতে গড়া তোমার স্ব-কারাবাস এখন কতোটা গোছালো ।
আমিও কি আছি আগের মতো. মুঠো করে এনে দেব হিমালয় ?
তোমার খুশির তরে বুক চিরে দেখাব বিশাল নায়াগ্রা ?
জল প্রপাতের সুরে তুমিও কি তন্ময় হবে আর কোনদিন ?
যৌবনের মরা অহংকার ফিরিয়ে দেয় এখন ভিনদেশী ভায়াগ্রা ।
এবার স্বাধীনতা দাও, একটু দেখতে দাও সমূদ্রের লাল তারামাছ
কানখাড়া পাহাড়ি খরগোস, অরণ্য ছায়ায় বিচিত্র পাখ-পাখালি
গোধূলীতে ভুবন চিলেরা কি খোঁজে সাতরঙ্গা আলোর কাছে
সেতারের ছয় তারে কি আবেগে খেলে সুর খেয়ালী !
“তোমার মুখ দেখতে দেখতে চোখে ছানি পড়ে গেছে
তবুও মিটেনা দেখার সাধ”
জানি, এভাবে লিখলে কবিতাটি-হয়ত তুমি খুশি হতে
আমাকেও অযথা দিত না কেউ অপবাদ !
কবি আমি, মিথ্যার বীজ যদি প্রোথিত করে যাই
কবিতায় জেনে শুনে, মৃত্যুবাধি এবং তারপরও
পৃথিবীর শেষদিনতক, অভিশাপে জর্জরিত হব
কবিতা ও পাঠকের, আমি কি তা করতে পারি বলো ?